#ঝাড়গ্রাম: হাসাপাতাল থেকে পালানোর চেষ্টার ঘটনা ঘটল ঝাড়গ্রামে ৷ওটিতে ঢোকানোর পরই পালান রোগী৷ হাসপাতালের পাঁচতলা থেকে পালানোর চেষ্টা করেন রোগী ৷
প্রথমে কার্নিশে চড়ে বসেন রোগী৷ তারপর সেখান থেকে পাইপ বেয়ে পালানোর চেষ্টা করেন ৷ তবে রোগীর এইরকম মরিয়া পালানোর চেষ্টা ব্যর্থ করেন নিরাপত্তাকর্মীরা৷ রোগী উদ্ধারে ডাকা হয় দমকল বাহিনীকে ৷ অবশেষে দমকল বাহিনী -র কর্মীরা এসে উদ্ধার করেন রোগীকে৷
এরকম হাসপাতাল থেকে রোগী পালানোর ঘটনা নতুন নয়, একাধিক সময়ে এভাবে রোগীরা পালিয়ে যান বা পালানোর চেষ্টা করেন ৷ করোনার অতিমারীর শুরুতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এরকম রোগী পালানোর ঘটনা সামনে এসেছে ৷ করোনা ছাড়া অন্য রোগীরাও পালানোর ঘটনাও ঘটেছে ৷ এদিন ঝাড়গ্রামের রোগীকে পালানোর আগেই ধরা যাওয়ায় স্বস্তি ৷ কারণ দিন কয়েক আগেই চার দিন পর খোঁজ মিলল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে নিখোঁজ রোগীর। হাসপাতাল জুড়ে নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকলেও এই ঘটনায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে রোগীর পরিবার। তবে কীভাবে পালাল রোগী তা নিয়ে রয়ে গিয়েছে রহস্যই।
খিঁচুনির উপসর্গ নিয়ে বুধবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভরতি হন মেমারির বাসিন্দা নিতাই সোরেন। শুক্রবার তাঁর সিটি স্ক্যানের জন্য স্টেচার আনতে যান মেয়ে সরস্বতী সোরেন। ফিরে এসে দেখেন বেডে নেই নিতাই সোরেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিখোঁজের কথা জানালেও লাভ হয়নি। থানায় নিখোঁজ ডায়ারি করে নিতাই সোরেনের পরিবার। অভিযোগ সেই সময় দুব্যবহার করে কর্তৃপক্ষ।
ঘটনায় রোগীর পরিবারের দিকেই অবহেলার অভিযোগ তোলেন হাসপাতালের ডেপুটি সুপার।
অবশেষে বর্ধমান শহরে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় নিতাই সোরেনকে। সেখান থেকেই নিতাই সোরেনকে উদ্ধার করে পুলিশ। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ জুড়ে রয়েছে প্রায় দুশো সিসিটিভি। রোগী নিখোঁজের মত ঘটনা কমাতে এই ক্যামেরাগুলিতেও আরও নজরদারির কথা বলছেন রোগীর পরিজনরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।