হোম /খবর /দেশ /
খিদের জ্বালা আর সংক্রমণের ভয়! ৫৫০ কিমি হেঁটে মৃত্যু আরও এক শ্রমিকের

খিদের জ্বালা আর সংক্রমণের ভয়! ৫৫০ কিমি হেঁটে মৃত্যু আরও এক শ্রমিকের

লকডাউন চালু হতে এই চিত্রটাই দেখা গিয়েছিল দেশজুড়ে।

লকডাউন চালু হতে এই চিত্রটাই দেখা গিয়েছিল দেশজুড়ে।

সুব্রমনির মরদেহ যাতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছয়, পরিজনেরা যাতে তাঁর শেষকৃত্য করতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্যে কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন সমাজকর্মী হরিশ দাগা।

  • Last Updated :
  • Share this:

#তেলঙ্গানা: লকডাউন প্রাণ নিল আরও এক ভারতীয় শ্রমিকের। লকডাউনের জেরে অন্নসংস্থান অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় মহারাষ্ট্র থেকে তামিলনাড়ু, হাঁটতে শুরু করেছিলেন তিনি। ৫৫০ কিমি পথ পায়ে হেঁটে চলে এসেছিলেন। বুধবার রাতে বালা সুব্রমনি লোগেশ নামের ওই শ্রমিক(২৩) তেঙ্গানার এক ত্রাণশিবিরে মারা গিয়েছেন।

সুব্রমনির বাড়ি তামিলনাড়ুর ওয়ার্ধা জেলায়। লকডাউন ঘোষণা হতেই ২৬ জন সঙ্গীর সঙ্গে বাড়ির দিকে হাঁটা দেন তিনি। পার করে ফেলেন ৫৫০ কিলোমিটার। প্রায় ধুঁকতে থাকা শরীরটাকে আর বইতে পারছিলেন না সুব্রমনি। ঠাঁই হয় ত্রাণশিবিরে। বুধবার রাতে সেখানেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

সু্ব্রমনি ও তাঁর বন্ধুরা ভিনরাজ্যে শুধু শ্রমিক হিসেবে পড়ত না। ওয়ার্ধার একটি পলিটেকনিক কলেজে তাঁরা পড়তও।সুব্রমনির এক বন্ধু দীনেশ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "আমরা সকলে হাক্লান্ত ছিলাম। আমাদের পায়ে আর সাড় ছিল না।তবু বাড়ি যাওয়ার জেদ ছিল মনে। ট্রাকচলকরা আমাদদের কিছুটা পথ যেতে সাহায্য করেছিল।

বুধবার রাতে তেলঙ্গানার ত্রাণ শিবিরেই সংজ্ঞা হারান সুব্রমনি। স্থানীয় পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল তাঁর। সুব্রমনির দেহ ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে।

গোটা ঘটনায় বির্যস্ত সুব্রমনির সঙ্গীরা। ওই ২৬ জনের একজন আয়ুব নিউজ১৮কে বলেন, "আমরা শুধু বাড়ি যেতেই চেয়েছিলাম। সুব্রমনির শরীরে কোনও সমস্যা ছিল না। অথচ ও আমাদের সামনেই মরে গেল। আমরা কিছুই করতে পারলাম না।"

সুব্রমনির মরদেহ যাতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছয়, পরিজনেরা যাতে তাঁর শেষকৃত্য করতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্যে কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন সমাজকর্মী হরিশ দাগা।

Published by:Arka Deb
First published:

Tags: Corona Virus