#হায়দরাবাদ: গত সপ্তাহে সামনে এসেছিল এই মর্মান্তিক ঘটনাটি। হায়দরাবাদের এক ৯ বছরের মেয়ের ঝুলন্ত উদ্ধার করেছিলেন তার বাবা-মা। তখন থেকেই সন্দেহ ছিল যে, কী কারণে এমন ঘটনা ঘটালো মেয়েটি। সেদিনই পুলিশ এই ঘটনার মামলা রুজু করেছিল। অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। তদন্তে নেমে এখন পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খেলতে গিয়েই এমন মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে মেয়েটির।
গত ২৩ মার্চ বাড়ি থেকেই নেনাবথ শ্রীনিধির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। হায়দরাবাদের সইদাপত এলাকার খাজা কলোনিতে তাদের বাড়ি। বাড়িতে সেই সময় বাবা-মা কেউই উপস্থিত ছিলেন না। শ্রমিকের কাজ করেন তাঁরা দু'জনেই। বাড়ি ফিরে এসে মেয়ের দেহ উদ্ধার করেন তাঁরা। প্রতিবেশীরা জানিয়েছিলেন, সেই সময় তুতো ভাইবোনদের সঙ্গে খেলছিল মেয়েটি। স্কিপিং করার দড়ি দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে খেলছিল তারা। সেই সময়ই মর্মান্তিক ভাবে ফাঁস লেগে যায় মেয়েটির। পরে মেয়েটির বোন চেয়ার দিয়ে উঠে দড়িটি কেটে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী শিশুদের বয়ান অনুযায়ী, মেয়েটি তার ছোট ভাইয়ের কাছে একটি মন্দিরে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর করেছিল। যদি না নিয়ে যাওয়া হয়, তবে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিল মেয়েটি। এবং এ বিষয়ে একাধিকবার তাদের মধ্যে অশান্তিও হয়েছিল। পুলিশের দাবি, 'এই বিষয় নিয়ে খেলতে গিয়েই গলায় ফাঁস লেগে দমবন্ধ হয়ে যায় মেয়েটির। সেখানেই মারা যায় সে।' ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যুর কথাই উল্লেখ করা হয়েছে।
মৃত্যুর পরই পুলিশের কাছে মেয়েটির বাবা-মা সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। কোনও ভাবেই মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না বলে দাবি করেছিলেন তাঁরা। তারপরেই পুলিশ তদন্তে নেমে অনুমান করছে, এটা খেলতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে।