#দেরাদুন : উত্তরাখণ্ডের নামজাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি) রুরকির (IIT -Roorkee) প্রায় ৮৮ জন পড়ুয়া করোনা(Covid - 19) আক্রান্ত ৷ বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষের তরফে একথা জানানো হয়।
আইআইটি রুরকির মুখপাত্র সোনিকা শ্রীবাস্তব জানান, ওই ৮৮ জন করোনা আক্রান্ত পড়ুয়াকে ক্য়াম্পাসের ভিতরেই গঙ্গা হস্টেলে রাখা হয়েছে ৷ অতিমারীর আবহে এই হস্টেলটিকেই জরুরি ভিত্তিতে করোনা সেন্টারে পরিণত করা হয়েছে ৷ আক্রান্তরা সকলেই হরিদ্বারের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন বলে জানান সোনিকা ৷
সোনিকা জানিয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতর কঠোরভাবে মেনে চলা হচ্ছে কোভিড বিধি ৷ ইতিমধ্যেই পাঁচটি হস্টেল ‘সিল’ করে দেওয়া হয়েছে ৷ তবে এই পরিস্থিতিতেও অনলাইন ক্লাস চলছে ৷ সেখানে কোনও সমস্য়া নেই ৷ প্রসঙ্গত, গত বুধবার উত্তরাখণ্ডে নতুন করে ১ হাজার ১০৯ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে ৷ সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্য়ে কোভিড রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৪ হাজার ৭১১ জন ৷
এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর আতঙ্ক ক্রমশ গ্রাস করছে গোটা দেশকে। গত এক সপ্তাহে মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি কর্নাটক, ছত্তীসগঢ়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলির পরিস্থিতিরও অবনতি হচ্ছে। এগুলির মধ্যে সবথেকে খারাপ অবস্থা ছত্তীসগঢ়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৩১০ জন। করোনার প্রথম পর্বেও এত খারাপ পরিস্থিতি ছিল না এই রাজ্যে। কর্নাটকেও দিন দিন অবনতি হচ্ছে করোনা পরিস্থিতির। একই অবস্থা রাজধানী দিল্লিতেও। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন আক্রান্ত ৫ হাজার ৫০৬ জন। এ বছরে যা এখনও অবধি সর্বোচ্চ।
উত্তরপ্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজারের বেশি। মধ্যপ্রদেশেও কোভিড পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। সেখানে দৈনিক আক্রান্ত ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। তামিলনাড়ুতেও তা প্রায় ৪ হাজার, গুজরাত এবং কেরলে সাড়ে ৩ হাজার। গত ক’দিনে তেলঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, হরিয়ানাতে বেড়েছে দৈনিক আক্রান্ত। ওই রাজ্যগুলি বৃহস্পতিবার দৈনিক আক্রান্ত আড়াই হাজারের আশপাশে। বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ডে দৈনিক আক্রান্ত এক হাজার ছাড়িয়েছে। হাজারের কম হলেও ওড়িশা, গোয়া, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশেও দেশের দৈনিক আক্রান্ত বাড়ছে।