#নয়াদিল্লি: এবার মাঝ আকাশে শাসন করবে ভারতে তৈরি যুদ্ধবিমান৷ সুরক্ষা সম্পর্কিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বা ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (সিসিএস) বুধবার ৮৩টি লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট (এলসিএ) তেজস কেনার অনুমোদন দিল৷ হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড-এর (হ্যাল) থেকে তেজস মার্ক ওয়ান সংস্করণের যুদ্ববিমানগুলি কিনতে কেন্দ্রের খরচ হবে ৪৮০০০ কোটি টাকা৷ দেশীয় সামরিক বিমান সেক্টরে এর আগে এত বড় অঙ্কের চুক্তি হয়নি৷ এদিন ট্যুইট করে বিরাট ঘোষণা করে দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷
গতবছর মার্চেই প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিল ৮৩টি তেজস মার্ক ১এ সংস্করণ কেনায় ছাড়পত্র দিয়েছিল৷ শুধু প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সিসিএস-এর সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষা ছিল এতদিন৷ এদিন রাজনাথ সিং ট্যুইটে লিখলেন যে, "প্রতিরক্ষা উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারতের আত্মনির্ভরতা 'গেম চেঞ্জার' হতে চলেছে এলসিএ-তেজস৷ আইএএফ-এর যুদ্ধবিমানের মেরুদণ্ড হবে আগামী দিনে৷ এলসিএ-তেজসে একাধিক নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার হয়েছে, যা আগে কখনও ভারতে চেষ্টা করে দেখা হয়নি৷ এলসিএ-তেজসে ৫০ শতাংশ দেশীয় উপাদান রয়েছে৷ সেখানে এমকে এওয়ান সংস্করণে থাকবে ৬০ শতাংশ দেশীয় উপাদান৷"
The LCA-Tejas programme would act as a catalyst for transforming the indian aerospace manufacturing ecosystem into a vibrant Atmanirbhar-self-sustaining ecosystem. I thank the Prime Minister Shri @narendramodi for this historic decision taken by the CCS today.
The decision taken today will considerably expand the current LCA ecosystem and help in creating new job opportunities. HAL follows a system integrator model in LCA Mk1A program and acts as an umbrella organisation, fostering manufacturing & design capabilities in pvt. industry.
The HAL has already set-up second line manufacturing facilities at its Nasik and Bengaluru Divisions. Equipped with the augmented infrastructure the HAL will steer LCA-Mk1A production for timely deliveries to the IAF.
সিং আরও জানিয়েছেন যে, ইতিমধ্যেই হ্যাল নাসিক ও বেঙ্গালুরুতে এই যুদ্ধবিমান তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে৷ আগের চুক্তি অনুযায়ী ৪০টি কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট কেনার পাশাপাশি দেশে তৈরি জেট বিমানও ভারতীয় বায়ুসেনায় আগামী ছয় থেকে সাত বছরের মধ্যে ঢুকে যাবে৷ এর জন্য সিসিএস অনুমোদন দিয়েছে৷ মনে করা হচ্ছে আগামী মাসে এয়ারো ইন্ডিয়া ডিফেন্স একপ্রোর মধ্যেই চুক্তি হয়ে যাবে৷
তেজস মার্ক এওয়ান যু্দ্ববিমানগুলিতে ৪৩টি পরিবর্তন দেখা যাবে শুরুর দিকের তেজসের থেকে৷ পরিচালন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্যই রক্ষণাবেক্ষণ আরও সহজ করা হয়েছে৷ ইলেকট্রনিক স্ক্যান র্যাডার, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুটের সঙ্গেই বিয়ন্ড-ভিজুয়াল রেঞ্জ দূরপাল্লার মিসাইল নিক্ষেপের ক্ষমতাও থাকছে৷ বায়ুসেনার পরিকল্পনা রয়েছে আগামী দিনে একদম দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তেজসকেই আপন করার৷
২০১৪ সালে ভারত ১১৪টি জেট বিমান কেনার জন্য ১৫বিলিয়ন ডলারের দরপত্র দিয়েছিল৷ ভারতকে বিক্রি করতে আগ্রহী ছিল মার্কিনি সংস্থা বোয়িং, লকহিড মার্টিন ও সুইডেনের সাব এবি৷ কিন্তু ভারত দামি বিদেশি বিমান কেনার থেকে দেশি বিমান নেওয়ার দিকেই ঝুঁকছে৷
আগেই চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত জানিয়ে ছিলেন যে, পুরনো দিনের বিমানগুলিকে সরিয়ে ভারত সামরিক সজ্জায় নতুন বিমানকে ঠাঁই দেবে৷ কিন্তু দেশে তৈরি বিমান নিয়েই মাইলস্টোন লেখার কথা বলেন তিনি৷ মোদির ভারত 'লোকাল ফর ভোকাল' মন্ত্রেই আত্মনির্ভর হচ্ছে ধীরে ধীরে৷