#নয়াদিল্লি: ভারতের সঙ্গে প্রক্সি ওয়ার বা ছায়াযুদ্ধ বজায় রেখেছে চিন। সম্প্রতি পিএমও-র অফিসে এরকমই একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন দেশের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা চারটি এজেন্সি। প্রত্যেকটা রিপোর্টে একটা ব্যাপার পরিষ্কার। অক্টোবর মাসে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের চার বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গিয়েছিলেন চিনে। চিনের অবসরপ্রাপ্ত এবং বর্তমান সামরিক বাহিনীর কিছু অফিসারদের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। এঁদের মাধ্যমে এদেশে অস্ত্রশস্ত্র সাপ্লাই করছে চিন এমনটাই বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
মায়ানমারে দুই জঙ্গি সংগঠন ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মি এবং আরাকান আর্মির সঙ্গেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জঙ্গি নেতাদের যোগ রয়েছে। সম্প্রতি মায়ানমার দু’টি সংগঠনকেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ভারত এবং মায়ানমারের সেনা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালায়। তারপর থেকেই প্রতিশোধ নিতে তৎপর হয়ে উঠেছে জঙ্গিরা। তাদের মদত দিচ্ছে চিন। তবে ভারতকে ব্যস্ত রাখতে বেজিংয়ের এই পন্থা নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে গালওয়ান নিয়ে লড়াই, গোগরা, হটস্প্রিং বা প্যাংগং লেকে দুই দেশের সেনার চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে থাকা, শীতকালেও বজায় আছে স্ট্যান্ড অফ। পাকিস্তান চেষ্টা চালাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর বা পঞ্জাব সীমানায় অশান্তি তৈরি করতে। শীত পড়ার আগেই জঙ্গি অনুপ্রবেশ করাতে মরিয়া তারা।
এইরকম অবস্থায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অশান্তি তৈরি করতে পারলে ভারতীয় সেনাকে সে দিকেও দেখতে হবে। ফলে চিন এবং পাকিস্তান সীমান্তে নজরদারি কমলে সেটা চিনের মঙ্গল। উল্লেখ্য ২১ অক্টোবর ভারতীয় সেনার এক জওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে মেরে ফেলে নাগা জঙ্গিরা। এরপর প্রায় তিন ব্যাটালিয়ন সেনা সেখানে পাঠানো হয় পরিস্থিতি সামাল দিতে। চিনের বিদেশমন্ত্রক আগেও বহুবার ভারতের এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। সরকারি বয়ানে তাঁরা জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গেই তাঁরা সামরিক চুক্তি করে, নন স্টেট সংগঠনের সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগাযোগ নেই।
তার আগে মায়ানমার সীমান্ত থেকে প্রচুর পরিমাণে রাইফেল, গ্রেনেড, ল্যান্ড মাইন উদ্ধার করে ভারতীয় সেনা। তিনজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর মায়ানমার জঙ্গি সংগঠনের যুক্ত থাকার ব্যাপারটা সামনে আসে। নাগাল্যান্ড এবং মনিপুরের জঙ্গিরা আবার গোলমাল তৈরীর চেষ্টায় আছে মনে করছে নিরাপত্তা এজেন্সিগুলো। চিন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে মিলিয়ে মোট ১৪০০০ কিলোমিটার বর্ডার রয়েছে ভারতের। যার পুরোটা জুড়ে এখন নজরদারি জোরালো করেছে ভারতীয় সেনা। তাই নজর ঘোরানোই লক্ষ্য। নিজেদের সীমানা থেকে ভারতীয় সেনার উপস্থিতি কমানোর জন্য চিনের এই পদক্ষেপ তা নিয়ে নিশ্চিত নিরাপত্তা এজেন্সিরা।
Written by - Rohan Roy Chowdhury
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: China, Indian Army, Insurgent leaders