#মোরাদাবাদ: ছোট্ট ছোট্ট পায়ে সবে হাঁটা শুরু করেছে ২ বছরের শিশুটি। কথা বলা শেখা হয়নি। ইশারাতেই আপাতত কাজ চালাচ্ছে সে। বয়স মাত্র ২ হলেও কাজে সে একেবারে বড়দের মতো। কথা হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের এক শিশুর। যে সম্প্রতি তার বাস্তব বুদ্ধির জোরে এই বয়সেই করেছে বিরাট কাজ। এই খুদের উপস্থিত বুদ্ধির আজ প্রাণে বেঁচেছে তার মা ও ভাই।
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে রবিবার থেকে সে প্রায় সকলেরই পরিচিত। ঘটনার সূত্রপাত ৩ জুলাই। বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ স্টেশনে থাকত তারা। ভবঘুরে মহিলা তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে স্টেশনেরই ফুট ব্রিজের এক অংশে থাকতেন। শনিবার হঠাৎই স্টেশনে উপস্থিত RPF-এর কর্মীরা লক্ষ্য করেন এক শিশু তাঁদের কাছে এসে কিছু একটা বোঝানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু সে কথা বলতে পারে না। বেশ কিছুক্ষণ তাঁরা শিশুটির ইশারা দেখে বুঝতে পারেন, সে তাঁদের কোথাও যাওয়ার জন্য ডাকছে। ইশারা বুঝে তাই তড়িঘড়ি শিশুটির পিছনে পিছনে যেতে থাকেন RPF-এর বেশ কয়েকজন কর্মী। ছোট ছোট পায়ে সিঁড়ি ভেঙে ওই খুদে তাঁদের নিয়ে পৌঁছায় তার মায়ের কাছে।
RPF-এর কর্মীরা গিয়ে দেখেন, সেখানে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় মাটিয়ে শুয়ে রয়েছেন এক মহিলা, পাশে অঝোরে কেঁদে চলেছে ৬ মাসের একটি শিশু। মহিলা কর্মীরা জল দিয়ে তাকে ওঠানোর চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। পরে চিকিৎসকদের ডেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় দুই শিশু-সহ তাদের মা'কে।
এই পুরো ঘটনাটির ভিডিও পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। পুলিশ থেকে শুরু করে গোটা উত্তরপ্রদেশের মানুষ এই বাচ্চাটির বুদ্ধির প্রশংসা করে। মা অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে, এটা বুঝে RPF-কে ডেকে না আনলে হয় তো অনেকটা দেরি হয়ে যেত, বাঁচানো যেত না তার মা'কে।
এবিষয়ে RPF-এর এক আধিকারিক বলেন, শিশুটি কিছু বলতে না পারলেও RPF-এর কর্মীদের ইশারায় বোঝাতে থাকে আর মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য এগিয়ে আসে। তাকে দেখে পিছনে পুলিশ কর্মীরা এসে মহিলাকে উদ্ধার করে। সে যদি ওই সময়ে RPF-কে না ডাকত তা হলে তার মায়ের চিকিৎসা শুরু করা যেত না।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মহিলার চিকিৎসা চলছে এবং তাঁর পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।