#আসাম: তিন বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিল ছেলে। পরিবারের লোকজন অনেক চেষ্টা করেও কোনও ভাবে ছেলের খোঁজ পাননি। প্রায় তিন বছর পর আবার হারানো ছেলেকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ১৫ বছরের মিঠুন দেবনাথের মা। এই শনিবার গুয়াহাটির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে ছেলেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন মিঠুনের পরিবার।
মিঠুন কোচবিহারের বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকেই সে মানসিক ভাবে অসুস্থ। তিন বছর আগে মিঠুনের বাবা বাড়ি থেক কাজের সূত্রে বেরিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন ছেলে বাড়িতে নেই। তারপর অনেক মাস চেষ্টা করলেও মিঠুনকে তাঁরা খুঁজে পাননি। বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল ছেলে।
গুয়াহাটির ওই এনজিওর তরফে জানান হয়েছে, বারো বছরের একটি ছেলেকে তাঁরা আসামের ধুবড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার করেন। তাঁকে অনেক জিজ্ঞাসাবাদ করলেও, বাড়ি কোথায় এবং পরিবারের সদস্যের নাম কিছুই বলতে পারেনি মিঠুন। এনজিও-র লোকেরা মিঠুনকে তাঁদের হোমে নিয়ে যায়।
ওই যুবক কীভাবে কোচবিহার থেকে গুয়াহাটি পৌঁছয় সেই বিষয় এখনও কিছু জানা যায়নি। এনজিও-র লোকেরা অসমিয়া ভাষায় কথা বলত, সে বুঝতে পারত না তাই কারোর সঙ্গে কথা বলত না। কিন্তু ছ’মাস আগে সে বাংলা ভাষায় কথা বলে এবং বাড়ি ফিরবে জানায়। বাংলা ভাষায় কথা বলছে দেখে ওই এনজিও থেকে তার পরিবারের লোকজনকে খোঁজার চেষ্টা শুরু করা হয়। তাঁরা ভাবেন নিশ্চয় পশ্চিমবঙ্গে কোথাও মিঠুনের বাড়ি।
কিছু দিন আগে পশ্চিমবঙ্গ শিশু কল্যাণ কমিটির সভাপতি কোচবিহার থেকে ধুবড়ি গিয়েছিলেন তখন তাঁকে মিঠুনের সম্পর্কে জানানো হয়। তারপরেই মিঠুনের মা-বাবাকে খুঁজে পাওয়া যায়। তাঁরা মিঠুনের তিন বছর আগেকার ছবি পাঠালে এনজিও-র কর্মকর্তারা বুঝতে পারেন এবং পরিবারের লোককে ডেকে পাঠান। গত শনিবার মিঠুনকে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেয় ওই এনজিও।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।