#নয়াদিল্লি: গোটা বিশ্বে করোনা হাহাকার! কোভিড-১৯ এর প্রভাবে স্বাভাবিক জীবনে ছন্দপতন। আত্মরক্ষার লড়াই-এ মাস্ক, স্যানিটাইজার আজ নিত্যসঙ্গী। ভাইরাসের ভ্যাকসিন দেশে চলে এলেই ফিরে আসা যাবে জীবনের মূল স্রোতে, এই আশাতেই বুক বেঁধেছে মানুষ। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক একটি সর্বদলীয় বৈঠকে জানিয়েছে, টিকাকরণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন দেশের ১ কোটি সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার স্বাস্থ্যকর্মী।
এই বৈঠকের সভাপতির পদে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মুখপাত্র ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষন। পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূষণ এই বৈঠকে একটি প্রেজেনটেশন দিয়েছেন, যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ডাক্তার এবং নার্স-সহ দেশের এক কোটি স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রথম এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। বৈঠকে এও বলা হয়, স্বাস্থ্যকর্মীদের পরের সারিতেই রয়েছেন দু’কোটি কর্মী, যাঁরা নিত্যদিন করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছেন। এই তালিকায় রয়েছেন পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনীর কর্মীরা এবং পুর কর্মীরা। সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই দুই সারির পর তৃতীয় সারিতে রয়েছেন ২৭ কোটি প্রবীণ নাগরিক। সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল লোকসভা এবং রাজ্যসভার সব দলের নেতাদের। ভার্চুয়াল মিটিং শুরু হয় বেলা সাড়ে দশটায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ৫ জন অথবা তার বেশি সংসদ সদস্য রয়েছেন এমন কয়েকটি বিশিষ্ট রাজনৈতিক দলের মোট ১৩জন নেতা এই বৈঠকে তাঁদের বক্তব্য পেশ করছেন। কংগ্রেসের তরফে সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলের নেতা গোলাম নবি আজাদ। পিটিআই সূত্রে খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির নেতা নম নাগেশ্বর রাও এবং শিব সেনার নেতা বিনায়ক রাওয়াতও হাজির ছিলেন ভার্চুয়াল বৈঠকে।
Antara Dey