#কলকাতা: নদিয়ার তৃণমূলনেতা খুনের ঘটনায় এবার সিআইডি তদন্ত চাইলেন নিহতের স্ত্রী। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা করে বুধবার সেই আর্জি জানালেন নারায়ণপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা নিহত মতিরুল ইসলামের স্ত্রী রিনা খাতুন বিশ্বাস।
গত মঙ্গলবারই রিনা জানিয়েছিলেন, তিনি বুধবার কলকাতায় আসবেন। এদিন কলকাতায় এসে বিধানসভায় গিয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে মন্ত্রীর কাছে অনুযোগ করেন রিনা। ক্ষোভপ্রকাশ করেন সাংসদের ভূমিকা নিয়েও। রিনার অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে খুন করার পিছনে খালেক কবিরাজ ওরফে রাজকুমার, পিঙ্কু মণ্ডল, হাবিব শেখের হাত রয়েছে। কিন্তু তাঁদের গ্রেফতারই করা হচ্ছে না । রিনার দাবি, এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন- আজ প্রশ্নপত্র সকাল সাড়ে ১১ টায়, ডিএলএড প্রশ্নপত্র নিয়ে ফের নির্দেশিকা বদল পর্ষদের
এই খুনের তদন্তে ইতিমধ্যেই বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সিটের নির্দেশে অভিযুক্তদের খোঁজে সোমবার রাতে একাধিক জায়গায় অভিযান চালায় নওদা এবং থানারপাড়া থানার যৌথবাহিনী। রাতভর অভিযানে মুর্শিদাবাদ থেকে আলামিন হালসনা এবং মিনাজ শেখ ওরফে দুখু নামে দু’জনকে আটক করে নওদা থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন:ঘর খুলতেই মেঝেতে মেয়ের দেহ, বিছানায় জামাইয়ের! পাশে পড়ে পোড়া কাঠকয়লা, কিন্তু কেন?
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ মুর্শিদাবাদের নওদার শিবনগর এলাকায় খুন হন মতিরুল (৪৫)। করিমপুর-২ ব্লকের তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ছিলেন তিনি। অভিযোগ, নওদার টিয়াকাটা ফেরিঘাটের আগে শিবনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে দেহরক্ষীদের নিয়ে মোটরবাইকে চড়ে যাওয়ার সময় তাঁদের দিকে দুষ্কৃতীরা বোমা ছোড়ে। মোটরবাইক ফেলে শিবনগর গ্রামের দিকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাও করেন মতিরুল। কিন্তু, কিছুটা যাওয়ার পরেই পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ থেকে তাঁর দিকে একাধিক গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন মতিরুল।আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলেও বাঁচানো যায়নি মতিরুলকে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।