#মাজদিয়া: শীতকাল মানেই বাঙালির পিঠে পুলি খাওয়ার পার্বণ। পিঠেপুলি খেতে আমরা সকলেই কম বেশি ভালবাসি। তবে পিঠেপুলি খেতে গেলে আরও একটি জিনিসের আমাদের প্রয়োজন হয় তা হল খেজুরের গুড়। শীতকালেই সাধারণত পাওয়া যায় এই খেজুরের গুড়। গ্রাম বাংলার দিকে খেজুর গাছে শিউলিরা সকাল বেলা হাড়ি বেঁধে দিয়ে আসে। সেই হাঁড়িতেই ফোঁটা ফোটা করে খেজুর গাছের রস পরে। এবং সেই রস জাল দিয়েই তৈরি করা হয় সুস্বাদু খেজুরের গুড়।
খেজুরের গুড় অথবা নলেন গুড় থেকে একাধিক সুস্বাদু মিষ্টান্ন ও পিঠেপুলি তৈরি করা হয়। নদিয়ার মাজদিয়ায় রয়েছে খেজুরের গুড়ের একটি হাট। এই গুড়েরহাট অনেক দিনের পুরনো। এখান থেকে গুড় রপ্তানি করা হয় দেশ-বিদেশের বহু প্রান্তে। তবে এই গুড় নিয়ে যাওয়ার জন্য সাধারণত ব্যবহার করা হয় মাটির কলসি বা কলস টাইপের এক ধরনের বস্তু।
এর কারণ হিসেবে গুড ব্যবসায়ীরা জানায় বর্তমানে অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের পাত্রের থেকে মাটির পাত্রে গুড় বহুদিন পর্যন্ত নষ্ট হয় না। এবং সেই গুড়ের স্বাদও থাকে অপরিবর্তিত। যদিও প্লাস্টিকের পাত্রের থেকে মাটির এই পাত্রের মূল্য অনেকটাই বেশি কিন্তু গুড়ের স্বাদ অপরিবর্তিত রাখতে ব্যবসায়ীরা প্লাস্টিক কিংবা অ্যালুমিনিয়ামের চেয়ে মাটির এই পাত্রই ব্যবহার করে থাকেন।
বর্তমানে শহরতলীতে অনেক জায়গায় প্লাস্টিক অথবা অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে নলেন গুড় আমদানি রপ্তানি করা হলেও মাটির কলসিতে গুড় নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা প্রায় একই রয়েছে এখনও। সেই কারণেই এই মাটির কলসির চাহিদার কারণে গুড় নিয়ে যাওয়ার এই ধরনের পাত্র বানিয়ে লাভবান হচ্ছেন নদিয়ার মৃৎশিল্পীরা।
Mainak Debnath
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Nadia, Nadia news