নদিয়া: পহেলা বৈশাখ অক্ষয় তৃতীয়ার কথা তো আমরা সকলেই জানি। এইদিন অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা হিন্দু শাস্ত্র মতে লক্ষ্মী গণেশ ঠাকুর দোকানে এনে তা পুজো করে থাকেন। এবং ঐ দিন দিয়েই শুরু করা হয় নতুন বছরের নতুন খাতা। যাকে বলা হয় হালখাতা। নতুন বছরে পুরনো সমস্ত হিসেব ক্রেতা ও বিক্রেতারা মিটিয়ে নেয়। ঐ দিন ক্রেতার কাছে সমস্ত বিক্রেতারা পাওনা টাকা মিটিয়ে দেয় এবং তার পরিবর্তে ক্রেতা-বিক্রেতাদের খাওয়ান মিষ্টি। কখনো দেওয়া হয় মিষ্টির প্যাকেট এবং তার সাথে সুন্দর একটি ক্যালেন্ডারও। এই প্রথা চলে আসছে বহু যুগ যুগান্তর ধরে যাকে বলা হয় হালখাতা। তবে শুধু পহেলা বৈশাখ বা অক্ষয় তৃতীয়াই নয়, বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনেও অনেক ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ দোকানে করে থাকেন লক্ষ্মী গণেশের পুজো এবং হালখাতা।
আরও পড়ুনঃ Nadia: এবার বাঘের আতঙ্ক নদিয়ার হরিণঘাটায়
নদিয়ার মাজদিয়ার এক ব্যবসায়ী জানান, \"এই দিনটি আমার কাছে সবথেকে শুভদিন বলে মনে হয়েছে, প্রথম থেকেই আমরা এই দিনেই পুজো করে আসছি দোকানে। পহেলা বৈশাখ এবং অক্ষয় তৃতীয়ায় বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরাই পুজো করেন হালখাতাও করেন। তবে সমস্যা হয় একই দিনে একাধিক পুজো থাকার ফলে অনেক ক্রেতাদেরই সমস্ত দোকানে আসা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। ওই কারণে আমি এই দিনটিকেই পুজো করার জন্য বেছে নিয়েছি\"। স্থানীয় এক বাসিন্দা হালখাতা করতে এসে জানান, \" পহেলা বৈশাখ এবং অক্ষয় তৃতীয়াতে পুজো এবং হালখাতার পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে, সেই জন্য চাপের সৃষ্টি হয়, কিন্তু বুদ্ধ পূর্ণিমাতে তুলনামূলকভাবে পুজো ও হালখাতার পরিমাণ কম থাকার জন্য আজকে এসেছি হালখাতা করতে\"। সেই কারণেই পহেলা বৈশাখ ও অক্ষয় তৃতীয়ার পর সাধারণ মানুষ পুজো এবং হালখাতা করতে বেছে নিচ্ছেন বুদ্ধপূর্ণিমাকেই।
Mainak Debnathনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Nadia