#নদিয়া: চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। হেনস্থার শিকার ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। ৭২ বছরের রোগীর মৃত্যুতে এই ঘটনার সূত্রপাত।
শান্তিপুর বড়বাজার রথতলা গোকুলচাঁদ ঠাকুর লেনের বাসিন্দা প্রয়াত সন্তোষ চৌধুরীর স্ত্রী গায়ত্রী চৌধুরী শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত অসুস্থতা নিয়ে ভর্তি হন শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। কর্তব্যরত চিকিৎসক হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেনারেল ফিজিশিয়ান উজ্জ্বল বিশ্বাস। চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মী অক্সিজেন এবং ওষুধপত্র দিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। এরপর পরিবারের লোকজন এসে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলা চালান বলে অভিযোগ।
ঘটনা চলাকালীন শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপারিনটেন্ডেন্ট ড. তারক বর্মন এসে পৌঁছান ঘটনাস্থলে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তিনি।
আরও পড়ুন, সাবিত্রী ইস্যুতে বিজেপির মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ, তুমুল হট্টগোল বিধানসভায়
রোগী বসার কাঠের টুল দিয়ে টেবিলের কাচ ভাঙা হয়েছে। ওই টেবিলে থাকা অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা যাবতীয় কাগজ লন্ডভন্ড করা হয়েছে। ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে বহু নথিপত্র। কর্তব্যরত ডাক্তারকে ড্রয়ার খুলে মারতে উদ্যত হয়েছিলেন রোগীর পরিবারের এক মহিলা। যদিও স্বাস্থ্যকর্মীরা চিকিৎসককে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান।
আরও পড়ুন, ভরসা করে ঘর ছেড়েছিলেন, সেই প্রেমিকাকে খুন করে পুঁতে দিলেন প্রেমিক! চাঞ্চল্য খড়্গপুরে
সুপারিনটেন্ডেন্ট ড: তারক বর্মন বলেন, "এক স্বাস্থ্যকর্মী শান্তিপুর থানায় খবর দিলে ওসি নিজে ঘটনাস্থলে চলে আসেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ আধিকারিকের আলোচনায় স্থির হয় যেহেতু রোগীর পরিবার চিকিৎসার গাফিলতি মনে করছেন, তাই ময়না তদন্ত আবশ্যিক। ভাঙচুরের ফলে হাসপাতালে বেশ কিছুক্ষণ রোগী পরিষেবা ব্যাহত থাকে। বর্তমান সরকারের ব্যবস্থা অনুযায়ী অভিযোগ দায়ের করার জন্য হাসপাতালেই রাখা থাকে অভিযোগ বাক্স। নিজেদের হাতে আইন তুলে নেওয়া অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। এর আগেও বেশ কয়েকবার এ ধরনের ঘটনা হলেও কোনও লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি হাসপাতালের পক্ষ থেকে। তবে এক্ষেত্রে ডাক্তারকে মারতে উদ্যত হওয়া এবং চিকিৎসা পরিষেবা আটকে রাখা, এছাড়াও হাসপাতালের নথি ছিঁড়ে ফেলার যাবতীয় বিশদ বিবরণ উল্লেখ করে শান্তিপুর থানাকে জানানো হয়েছে, এবং দেওয়া হয়েছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। তারা যা ব্যবস্থা নেবে সেটাই শিরোধার্য।"
অন্যদিকে মৃতের পরিবারের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে বিশেষ লাভ হয়নি। অবশেষে হাসপাতালেই দেখা মেলে তাঁদের। সেদিনের ঘটনায় অনুশোচনা প্রকাশ করেছেন অভিযুক্তর। তবে চিকিৎসারত মৃত্যুর ক্ষেত্রে ময়নাতদন্ত করে মৃতদেহ পেতে দেরি করানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
সুপার জানিয়েছেন, চিকিৎসায় কী গাফিলতি আছে তা জানতেই ময়না তদন্তের প্রয়োজন। এলাকা সূত্রে জানা যায়, প্রয়াত গায়ত্রী চৌধুরী এর আগেও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।Maiank Debnath
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।