কল্যাণী : মরণোত্তর দেহ দান৷ নদিয়া জেলার কল্যাণীর অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সাইন্স (এইমস) হাসপাতলে চালু হল মরণোত্তর দেহ দান প্রক্রিয়া। চিকিৎসা গবেষণার কাজে দরকার মরদেহ৷ ডাক্তারি ছাত্র ছাত্রীদের শব ব্যবচ্ছেদের ক্লাসেও দরকার দেহ৷ শল্য চিকিৎসায় প্রতিনিয়ত হয়ে চলেছে বিভিন্ন গবেষণা। সেই গবেষণার জন্য প্রয়োজন পড়ে অনেক দেহ। মরণোত্তর দেহ দান করার ফলে তার চাহিদা পূরণ হয়। এই দেহ নিয়ে গবেষণা ফলে শল্য চিকিৎসায় নতুন নতুন উন্নতি সাধন হচ্ছে৷ সম্প্রতি কল্যাণীর এইমস হাসপাতলে চালু করা হল মরণোত্তর দেহ দান প্রক্রিয়া। এই কর্মসূচির ফলে মৃত্যুর পরে নিজের দেহ বা অঙ্গ দান করতে ইচ্ছুক মানুষ কল্যাণীর এইমস হাসপাতালে গিয়ে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করতে পারবেন। এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন কল্যাণী এমস হাসপাতালের অধিকর্তা ড: রামজি সিং। এই কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের এমিরেটস বিজ্ঞানী স্মিতা মাহালী। মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট ডঃ অজয় মল্লিক জানান, মরণোত্তর দেহদানের মাধ্যমে কল্যাণীতে ডাক্তারি পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীরা শব ব্যবচ্ছেদের সুযোগ পাবেন। কল্যাণী এইমস হাসপাতালে এ্যানাটমি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড: বিশ্ববীণা রায় জানান, প্রথম দিনেই ১৫ জন ব্যক্তি মরণোত্তর দেহ দান করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয় 'মরণোত্তর শিক্ষাদান'। এদিন হাসপাতালে দেহদানের কর্মসূচিতে একাধিক ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা গেল কল্যাণী ব্লকের সুগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রবীর হালদার মরণোত্তর দেহদানের জন্যে অঙ্গীকারবদ্ধ হন৷ আগামী দিনে আরও অনেকেই এই মহৎ কাজে এগিয়ে আসবেন বলে আশা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।