বড়ঞাঃ মুর্শিদাবাদ জেলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ইতিহাসের বহুমূল্য সম্পদ।আছে বহু মন্দির ভাস্কর্য স্থাপত্য। যদিও কালের নিয়মে অনেক মন্দিরই আজ ধ্বংসের মুখে। কোনো মন্দিরের সংষ্কার হচ্ছে নতুন করে আবার কোনো মন্দির হারিয়ে যাচ্ছে কালের অতলে। কৃষি নির্ভর মুর্শিদাবাদ জেলার শস্য গোলা হিসেবে পরিচিত বড়ঞা ব্লক। পছিপাড়া গ্রামে গ্রামীণ দেবী সুবিক্ষ্যা মাতার মন্দিরের পূর্ণ সংষ্কার করা হল। এই গ্রাম কৃষি প্রধান এলাকা হলেও চাষের জন্য প্রয়োজনানুসারে বৃষ্টি না হওয়ায় ২৫০ বছর আগে মা দুর্গার অপর রূপ সুবিক্ষ্যা মাতার পুজো শুরু করা হয়। কথিত আছে যেদিন পুজো হতো গ্রামে সেইদিন বৃষ্টি হত। তার পর থেকেই গ্রামে শুরু হয় মা সুবিক্ষ্যার পুজো। ভগ্নদশার জেরে প্রাচীন এই মন্দির ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে পড়েছিল। পূর্ণ সংষ্কার করা হল এই মন্দিরের। পাশাপাশি, সারা জগতের মঙ্গল কামনায় হোম যজ্ঞ সহ মহা ধুমধাম করে ২৫০ বছরের প্রাচীন দেবী সুবিক্ষ্যা মাতার মন্দির কে নব রূপে, পুনরায় সংষ্কার করা হল।
আরও পড়ুনঃ Murshidabad News- পিকনিক করতে করতে হঠাৎ বচসা! তারপর যা হল, জানলে আঁতকে উঠবেন!
প্রাচীন রীতি ও তিথি অনুযায়ী দেবী সুবিক্ষ্যা মায়ের আরধনায় মাতল মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার পছিপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা। উল্লেখ্য, গত পাঁচ বছর আগে এই মন্দিরের ভগ্নদশা দেখা দেয়। যার ফলে ভেঙে পড়ে মন্দির। বাধ্য হয়েই দেবী মূর্তিকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে নিত্য সেবা পূজার্চনা চলতো। এদিন বহরমপুর সংলগ্ন গঙ্গা থেকে ভক্তরা জল নিয়ে এসে মন্দিরের অভিষেক করে। একাধিক বাদ্য যন্ত্রের আয়োজনে ও পবিত্রতার সাথে রীতি নীতি মেনে হোম যজ্ঞের সাথে ফের দেবীর আরাধনা শুরু করলো পছিপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা । আগে সোনার মুর্তি থাকলেও সেই মুর্তি চুরি হয়ে যায়। পরবর্তীতে অষ্ট ধাতুর একটি মূর্তি তৈরী করা হয়। এদিন রথে করে সেই মূর্তি কে নিয়ে এসে মন্দিরে পুন:প্রতিষ্ঠা করা হল। পুজো উপলক্ষে আগামী তিন দিনব্যাপী মেলা ও মহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে। গ্রামীণ এই পুজো ঘিরে সাধারণ ভক্তদের মধ্যে উৎসাহ ও উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। Koushik Adhikary
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Murshidabad