#মুর্শিদাবাদ: বাবা মা পরিবার কেউ নেই। ফলে ছোট থেকেই মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম থানার অন্তর্গত নগরে ডাঃ আম্বেদকর জনসেবা মিশনের হোমে মানুষ সীমা সাহানী। সম্প্রতি তার আঠারো বছর সম্পন্ন। আর আঠারো বছর সম্পন্ন হতেই তার অন্যত্র হোমে স্হানান্তরিত করা হয়ে থাকে। তবে আর হোমে স্হানান্তরিত না করেই তার সামাজিক মাধ্যম মেনেই বিবাহ সম্পন্ন হল বৃহস্পতিবার। মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম ব্লকের নগরে ধুমধাম সহকারে বিয়ে হল সীমার। স্বাক্ষী থাকলেন খড়গ্রাম ব্লকের বিডিও বাপী ধর, খড়গ্রাম থানার ওসি সুপ্রীয় রঞ্জন মাঝি।মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম ব্লকের নগর হালদার পাড়ার বাসিন্দা বিক্রম হালদার। বিক্রমের সঙ্গেই চার হাত এক হল সীমার। সামাজিক ভাবে মালা পরিয়ে বিবাহ সম্পন্ন করা হয়। সঙ্গে ছিল আমন্ত্রিত অতিথিদের খাওয়া দাওয়া। চাইল্ড কেয়ার ইন্সটিটিউট ফর গার্লস পক্ষ থেকে এই হোম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। হোমের দায়িত্ব প্রাপ্ত মিঠু মণ্ডল তাঁদের সম্প্রদান করলেন। তবে স্বাক্ষী থাকতে পেরে খুশি প্রকাশ করেছেন বিডিও থেকে ওসি সকলেই।
আরও পড়ুন : এই পরিবারের সদস্যরা রাঁধেন তেলেঙ্গানায়, স্নান করেন মহারাষ্ট্রে
হোম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, "গত চার বছর ধরে এই হোমে লালন পালন সীমার। তার বাবা, মা মারা যাওয়ার কারণেই এই হোমে নিয়ে আসা হয়। ২০২২ সালেই আঠারো বছর সম্পন্ন। আমরা একজন পাত্রের সন্ধান পায়। জীবন শুরু করছে এতে আমরা খুব খুশি।" সীমা সাহানী জানান, "আজকে আমার বিবাহ সম্পন্ন হল এতে আমরা খুশি। একজন বাড়ির মেয়ে যেভাবে বিবাহ হয় সেইভাবে নিয়ম নীতি মেনেই বিয়ে সম্পন্ন করা হল।" পাত্র বিক্রম হালদার জানান, "হোমের মেয়ে ছিল আমরা খোঁজ পেয়েছি। আজকে থেকে সব দায়িত্ব নিলাম। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলাম।"কৌশিক অধিকারী
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Murshidabad news