#মুর্শিদাবাদঃ মুর্শিদাবাদ জেলার পাশেই অবস্থিত মা তারার মন্দির তারাপীঠ। তারাপীঠে বেশি বিক্রি হয়ে থাকে জবা ফুলের। কিন্তু জবা ফুল চাষ করে লাভবান হয় চাষিরা। এ বার জবা ফুল চাষ করার জন্য এগিয়ে এল খড়গ্রাম ব্লক কৃষি দফতর।
মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম ব্লকের প্রান্তিক কৃষকদের অন্যরকম চাষের লাভবান করতে জবা ফুলের চারা গাছ তুলে দেওয়া হল। খড়গ্রাম ব্লকের কৃষি দফতরের অধীনে আত্মা প্রকল্পের অন্তর্গত উদ্যান পালন দফতরের পক্ষ থেকে ১০ জন কৃষকের হাতে এই চারাগাছ বিতরণ করা হয়। খড়গ্রাম ব্লকের অন্তর্গত পারুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চাষিরা এই জবা ফুল চাষ করেই সেই ফুল রওনা দেবে তারাপীঠে। ফলে জবা ফুলের জোগান ও অনেক হবে।
আরও পড়ুনঃ দু-হাত ঘষলেই ঝরছে ৫০০ টাকার নোট! তুফানের চমক দেখে হতবাক বীরভূম, ভাইরাল ভিডিও
মুলত জবা ফুল যে কোনও মাটিতেই জবা গাছ জন্মায়। তবে বেলে-দোঁয়াশ মাটি এই চাষের পক্ষে উপযুক্ত। সার মিশিয়ে মাটি তৈরি করলে ভাল ফুল পাওয়া যায়। ভাদ্র-আশ্বিন মাসে জবার চারা লাগানো হয়। জবা গাছ বসানোর ক্ষেত্রে প্রতি সারিতে ৩-৪ মিটার অন্তর দেড় ঘন ফুট গভীর গর্ত করতে হবে। চারা লাগিয়ে গোড়ার মাটি চেপে দিতে হবে৷ জলও দিতে হবে প্রয়োজন মতো।
আরও পড়ুনঃ মাছের জন্য বাজারে গিয়েছিলেন, কী ঘটল আচমকা! বাড়ি ফিরে চক্ষু চড়কগাছ যুবকের
মাটির পাশাপাশি টবেও এই গাছ লাগানো যেতেই পারে৷ তবে সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে টবটিতে যেন জল দাঁড়াতে না পারে৷ উপযুক্ত রোদ লাগে, এমন জায়গাতেই টবটি রাখতে হবে৷ শীতকালে উত্তুরে হাওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে গাছটিকে৷ দিনে পাঁচ-ছ’ঘণ্টা রোদ থাকে, এমন জায়গায় জবা গাছ বসানোই সবচেয়ে ভাল৷ গাছে ফুল আসার সময়ে প্রতি লিটার জলে ২৫ মিলিলিটার ল্যানোফিক্স মিশিয়ে প্রতিদিন স্প্রে করতে হবে। তবে জবা ফুল চাষ করেই লাভবান হবেন কৃষকরা বলে আশা করছেন কৃষি দফতর ও উদ্যান-পালন দফতর।
কৌশিক অধিকারী
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Tarapith