#মুর্শিদাবাদঃ ইচ্ছা ছিল নিজের সংসারের হাল ফেরাবেন। আর সেই হাল ফেরাতে সৌদি আরবে কাজে গিয়েছিলেন বহরমপুরের বাসিন্দা শেখ রবিউল(৪৬)। পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে ১০০ দিন (Murshidabad News)। সেখানে মৃত্যুর ১০০দিন পর তাঁর কফিনবন্দি দেহ ফিরল বহরমপুরের রাজধরপাড়ার বাড়িতে। দেহ ফিরতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। জানা গিয়েছে, গত বছর ২৬ অক্টোবর সৌদি আরবের আল কাদিয়াতে মৃত্যু হয় সাফাইকর্মী রবিউলের। পেটের যন্ত্রণার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ভর্তির চার পাঁচ ঘণ্টা পরই তাঁর মৃত্যু হয়। অনেক ঝক্কির পর অবশেষে দেহ ফিরল বাড়িতে।
রবিউল ও তাঁর ভাই সাড়ে চার বছর আগে সৌদি আরবে কাজে যান। সেখানে কাজের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুর পর প্রথমে পরিবার সিদ্ধান্ত নেয়, দেহ আনা হবে না। কারণ, সৌদি আরব থেকে দেহ আনতে নানা কাগজপত্র তৈরি করতে হয় যা সময়সাপেক্ষ। পাশাপশি মৃতদেহ আনার খরচও রয়েছে। সাধারণত সৌদিতে কাজে গিয়ে কারও মৃত্যু হলে দেহ ভারতে পাঠানোর খরচ স্থানীয় সংস্থাই বহন করে। এক-দেড় লক্ষ টাকা খরচ হয়। এই কথা জানার পরই পরিবার সিদ্ধান্ত নেয়, একবার অন্তত শেষ দেখার জন্য দেহ আনা হবে। কাগজপত্র তৈরি করতে শুরু করেন তাঁরা (Murshidabad News)। বিদেশ থেকে মৃতদেহ আনার প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল হওয়ায় বেশিরভাগ পরিবারই দেহ ফিরিয়ে আনতে চায় না। ওই পরিবারের সমস্যার কথা শুনে এগিয়ে আসেন বীরভূমের সাদিকুল ইসলাম। তিনি বিদেশমন্ত্রক ও সৌদির দূতাবাসে যোগাযোগ করে দেহ ফেরানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নেন। অবশেষে দেহ ফিরল গ্রামে। দেহ ফিরতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা পরিবার জুড়ে।
Koushik Adhikaryনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Berhampore, Migrant Worker, Murshidabad