মুর্শিদাবাদ: শিক্ষা দফতরের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশে সুতির স্কুলের পর ফের বহরমপুরে এল সিআইডি-র চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার সকালে সিআইডির প্রতিনিধি দল জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছ থেকে বেশ কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করে।
সুতির এক স্কুলে একই মেমো নম্বরে দু'জন শিক্ষকের চাকরি করার আশ্চর্য ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। কলকাতা হাইকোর্টই এই ঘটনা তদন্তভার তুলে দিয়েছে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। সেই নির্দেশ পেয়েই গত সপ্তাহে বহরমপুরে সিআইডি-র তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল এসেছিল। তারপর সোমবার সরাসরি স্কুলে যান সিআইডি-র তদন্তকারী অফিসাররা। মঙ্গলবার সকালে ফের তাঁরা বহরমপুরে শিক্ষা ভবনে হাজির হন।
সোমবার স্কুল থেকে এবং মঙ্গলবার শিক্ষা দফতরের অফিসে তদন্ত চালিয়ে কী জানা গিয়েছে তা অবশ্য সিআইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা জানাতে চাননি। তবে বেশ কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করেছেন বলে জানান জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ও সিআইডির আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: আসলের কাছে ধরা পড়ল নকল! চলন্ত ট্রেনের কামড়ায় হৈ হৈ কাণ্ড
প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত বাবার সাহায্যে এক বৈধ শিক্ষকের মেমো নম্বর জাল করে তিন বছর ধরে শিক্ষকের চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, একই মেমো নাম্বারের অধীনে আসল শিক্ষক এবং ভুয়ো শিক্ষক দু'জনেই এতদিন বেতন পেয়ে এসেছেন। এটা কী করে সম্ভব হল তা এখনও পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারছেন না কেউ।
মুর্শিদাবাদের সুতির গোঠা এ আর রহমান স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভূগোল শিক্ষক অরবিন্দ মাইতির ডকুমেন্ট জাল করে নিজের স্কুলে শিক্ষক পদে চাকরির সুযোগ করে দেন ছেলে অনিমেষ তিওয়ারিকে। এই ঘটনা ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি সারা রাজ্যে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। সেই ঘটনার তদন্তের স্বার্থেই বারবার জেলায় আসছেন সিআইডি কর্তারা।
কৌশিক অধিকারী
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Murshidabad news