#কলকাতা: চেনা রাজনৈতিক বৃত্তের বাইরে অচেনা মুখ্যমন্ত্রী। একদিকে অস্বস্তি, অন্যদিকে আবেগ। দু'য়ের টানাপোড়েনে জয় হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে ডি লিট সম্মান নিলেন মমতা। চেপে রাখতে পারলেন না অভিমান। বললেন, তাঁর জীবন চির অসম্মান-অবহেলার। শোনালেন লড়াইয়ের কথা।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আবেগতাড়িত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডি-লিট সম্মান নিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এই সম্মান দেওয়ার জন্য তাঁকে অনেক অসম্মানিত করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে আসবেন কিনা একসময় তা নিয়ে দ্বন্দ্বে ভুগছিলেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় যে তাঁকে সম্মানিত করেছেন তাতে তিনি গর্বিত। পাশাপাশি, অসহিষ্ণুতা প্রসঙ্গেও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিহাস বিকৃত না করার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, নেতাই। লড়াই-সংগ্রামের এমন অসংখ্য মাইল ফলক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনে। রাজনীতির নানা উত্থান-পতনেও তিনি বারবার পরিচয় দিয়েছেন হার না মানা মানসিকতার। বৃহস্পতিবার, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় স্পষ্ট হয়ে উঠল অস্বস্তি আর আবেগের সুর।
তিনি এদিন সমাবর্তন মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আমি সমাবর্তনে এসে গর্ববোধ করছি ৷ আমি নিজেকে ধন্য বলে মনে করছি ৷ এমন সম্মান পাব, কোনও দিন ভাবিনি ৷ সেজন্যও আমাকে অসম্মানিত করা হয়েছে ৷ আমার জীবন অবহেলা, অসম্মানের ৷ আমার জীবন খুব সাধারণ, আমার জীবন লড়াই, সংগ্রামের ৷ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র ৷ বিশ্বজুড়ে নাম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম৷’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডি লিট সম্মান কেন? সমালোচনার ঝড় তুলেছিল বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে তার জবাব দিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, এই প্রথম এ রাজ্যের কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে ডি.লিট সম্মান দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ৷