মালদহ: মৎস্যজীবীদের জন্য বিশাল সুযোগ দিচ্ছে সরকার। মাছ বিক্রি বা চাষের সঙ্গে যুক্ত থাকলেই মিলবে একাধিক সুযোগ সুবিধা। সঙ্গে আয় করার সুযোগ। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি সমস্ত মৎস্যজীবীদের জন্য একটি নতুন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মৎসজীবীরা বিভিন্ন সামগ্রী পাবেন মাছ বিক্রি ও মাছ চাষের জন্য।
প্রকল্পের মাধ্যমে পরিকাঠামো তৈরি করে আরও বেশি স্বনির্ভর হতে পারবেন মৎস্যজীবীরা।সরকারি এই প্রকল্পের নাম প্রধানমন্ত্রী মৎস সম্পদ যোজনা। রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের নাম দিয়েছে বাংলা মৎস যোজনা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মৎসজীবীরা বিভিন্ন ভাবে সরকারি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। গত ২০২২-২৩ আর্থিক বছর থেকে এই প্রকল্প চালু হয়েছে।
মালদহে এই প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন ইতিমধ্যে ২৫ জন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মৎসজীবীরা হ্যাচারি, জ্যান্ত মাছ বিক্রির পরিকাঠামো, ফিড মিল, ঘুরে ঘুরে মাছ বিক্রির জন্য বাক্স, সাইকেল, অটো, ফ্রিজিং ভ্যান সহ বিভিন্ন সামগ্রীর জন্য আবেদন করতে পারবেন। মাছ চাষ থেকে মাছ বিক্রির সমস্ত রকম পরিকাঠামোর জন্য আবেদন করতে পারবেন মাছ বিক্রেতা থেকে মাছ চাষীরা।মৎসজীবীরা নিজ নিজ ব্লক মৎস দফতরে আবেদন করতে পারবেন। অফ লাইনে আবেদন জমা নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: হোলির আগেই বাম্পার খবর! পেনশন বৃদ্ধির সরকারের, আবেদন করুন এখুনিনির্দিষ্ট আবেদন পত্রে নিজের মৎসজীবী পরিচয় দিয়েই আবেদন করা যাবে।এই প্রকল্পের কোন উপভোক্তা যদি তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি বা মহিলা হন সেই ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ টাকা উপভোক্তাকে দিতে হবে। এই টাকা উপভোক্তা ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়েও দিতে পারেন। বাকি ৬০ শতাংশ টাকা সরকারি ভাবে দেওয়া হবে। সাধারণদের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ টাকা উপভোক্তাকে দিতে হবে।
এই টাকা উপভোক্তা ব্যাঙ্ক ঋণ করেও দিতে পারেন। বাকি ৪০ শতাংশ টাকা সরকার প্রদান করবে।মালদহ জেলা মৎস দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে এই প্রকল্পে ভালো সাড়া মিলেছে। এখন পর্যন্ত ৪২৮ জন মৎসজীবী আবেদন করেছেন।ব্লক স্তরে আবেদনপত্র নেওয়ার পর জেলা সদর মৎস দফতরে পাঠানো হয়। জেলা স্তরে একটি কমিটি রয়েছে সেখানে আবেদন খতিয়ে দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয় আবেদনপত্র গুলি।হরষিত সিংহ
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।