মালদহ: বিরিয়ানি প্রেমীদের জন্য সুখবর। হাওড়ার পর এবার মালদহে 'দুয়ারে বিরিয়ানি'। ফোন করলেই বিরিয়ানির হাড়ি নিয়ে আপনার সামনে হাজির বিক্রেতা। মিলবে পছন্দমত মাংসের টুকরো বেছে নেওয়ার সুযোগ- ও। আপাতত ভাইরাল মালদহ শহরের 'দুয়ারে বিরিয়ানি' বিক্রেতা ওইশ বসাক। বাবার বুদ্ধিতেই ওইশ শুরু করে সাইকেল করে বিরিয়ানি ফেরি। শুরুর সাতদিনের মধ্যেই সারা ফেলেছে গোটা মালদহ শহরে। দুপুর থেকে লাগাতার অর্ডার, বেচারা বুঝেই উঠতে পারছেন না সদ্য ব্যবসা শুরু করা যুবক।
মালদহ শহরে শতাধিক বিরিয়ানির দোকান। তাদের মাঝে নতুন দোকান দিয়ে লাভের মুখ দেখা অসম্ভব। তাই ওইশের এই নতুন চিন্তা। বাজারে চিকেন বিরিয়ানির দাম ১০০ টাকা, সেখানে ওইশ বাড়িতে চিকেন বিরিয়ানি পৌঁছে দিচ্ছে মাত্র ৭০ টাকায়। চিকেন ও মটন বিরিয়ানি, দুটোতেই থাকছে আলু ও ডিম। ভেজ বা আলু বিরিয়ানির দাম ৫০ টাকা। একেবারে বাড়ির তৈরি টাটকা বিরিয়ানি, যা মাত্র এক সপ্তাহেই মালদহবাসীর মন জয় করেছে।
মালদহ শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডক পুকুর জগন্নাথ কলনীর বাসিন্দা ওইশ বসাক। বাবা রাজু বসাক পেশায় আচার বিক্রেতা। অভাবের সংসারে পড়াশোনা ছাড়তে হয় মাধ্যমিকের পর। তারপর বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেছেন কিন্তু রোজগার তেমন হয়নি। অবশেষে বাবার আচারের দোকানেই বসতেন ওইশ। কিন্তু বাবা ছেলের পরিশ্রম দিয়েও তেমন লাভ হচ্ছিল না। তাই ছেলেকে অন্য কাজে নিযুক্ত করতে চাইছিলেন বাবা । তাঁর মাথাতেই 'দুয়ারে বিরিয়ানি'-র আইডিয়া আসে। দোকান তৈরি করে বিরিয়ানি বিক্রি সম্ভব নয়। তাই সাইকেলে করে ঘুরে-ঘুরে বিরিয়ানি বিক্রির বুদ্ধি দেয়। বাবা, মা ও ছেলে মিলে বাড়িতেই বিরিয়ানি তৈরি করে। তারপর ওইশ বিরিয়ানির হাড়ি সাইকেলে বেঁধে বেরিয়ে পড়ে রাস্তায়। সাইকেলের সামনে ও পেছনে লেখা 'দুয়ারে বিরিয়ানি', সঙ্গে ওইশের ফোন নম্বর। কয়েকদিনের মধ্যেই ভালো প্রচার পেয়েছে ওইশ।
মোবাইল ও সাইকেল ছাড়া কিছুই নেই ওইশের কাছে। এই দুই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই বিরিয়ানি বিক্রি করে চলেছে।অফিসে বসে বা খেলার মাঠে এক ফোনে হাজির বিরিয়ানির হাড়ি। পছন্দ মত মাংসের পিস নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছেন না কেউ। আপাতত মালদহবাসী মজেছে ওইশের 'দুয়ারে বিরিয়ানি'-তে ।
হরষিত সিংহ
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Malda