মালদহ: সপ্তখানেক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুর থেকে রাজ্যের পথশ্রী প্রকল্পের সূচনা করেছেন। এই প্রকল্পের অধীনে মূলত গ্রামীণ এলাকায় নতুন রাস্তা তৈরির পাশাপাশি খারাপ হয়ে যাওয়া পুরনো রাস্তাগুলির সংস্কারও হবে। মালদহ জেলাতেও পথশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে একাধিক রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। তবে প্রয়োজন থাকলেও পথশ্রীর তালিকার বাইরে থেকে গিয়েছে পুরাতন মালদহের সাহাপুর পঞ্চায়েতের শান্তিপুর গ্রাম।
এই গ্রামটি প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত। গ্রামবাসীদের দাবি, স্বাধীনতার পর থেকেই একবারের জন্যও পাকা রাস্তা তৈরি হয়নি সেখানে। মালদহের এই গ্রামে এখনও কাঁচা রাস্তা। প্রশাসন রাস্তা তৈরি না করায় মাঝে গ্রামের বাসিন্দারাই চাঁদা তুলে কোনরকমে কাঁচা রাস্তা মেরামত করেন। তবুও পথশ্রী প্রকল্পে এই রাস্তার নাম না ওঠায় হতাশ গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: ১০০% ভোটারই মুসলিম, অথচ আসন তপশিলি মহিলা সংরক্ষিত! নির্বাচন কমিশনের 'তুঘলকি' সিদ্ধান্তে ক্ষোভ
এলাকার মানুষ জানিয়েছে, বহুবার তাঁরা এই রাস্তা পাকা করার জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেনি কেউ। স্থানীয় বাসিন্দা কনকা মণ্ডল বলেন, আমাদের গ্রামে রাস্তা নেই। প্রশাসনকে বলেও কাজ হচ্ছে না। রোগীদের নিয়ে যেতেও সমস্যা হয়। আমাদের একটাই দাবি পাকা রাস্তা করে দেওয়া হোক। ভাল রাস্তা না থাকায় গোটা গ্রাম অন্যান্য জায়গার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। বাধ্য হয়ে এই গ্রামের মানুষকে রেল লাইনের পাশ দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। রাস্তা না থাকায় গ্রামে অ্যাম্বুল্যান্স সহ কোনও চার চাকার গাড়ি ঢোকে না। ফলে ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজে যেতেও অসুবিধা হয়।
এই পরিস্থিতিতে গ্রামের মানুষ ঠিক করেছে, এবার আর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁরা ভোট দেবেন না। তাঁদের পরিষ্কার বক্তব্য, আগে রাস্তা তারপর ভোট। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক গোপাল চন্দ্র সাহা বলেন, ওই গ্রামে রাস্তার খুব প্রয়োজন।আমি রাস্তা তৈরির জন্য প্রশাসনকে জানিয়েছি। বিধানসভাতেও বিষয়টি তুলেছি। কিন্তু এখনও হচ্ছে না কেন আমার জানা নেই।
হরষিত সিংহ
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Malda News, Road, Village