হোম /খবর /মালদহ /
এই বন্দর দিয়ে ভারতে পণ্য রফতানির অধিকার চাইলেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা

Malda News: সদ্য খেলা মহদিপুর বন্দর দিয়ে পণ্য রফতানির দাবি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের

X
title=

সদ্য খুলে দেওয়া মালদহের মহদিপুর স্থলবন্দর দিয়ে শুধুমাত্র ভারতীয় ব্যবসায়ীরাই বাংলাদেশে পণ্য রফতানি করতে পারছেন। এখান দিয়ে মূলত পাথর, ভুট্টা, পেঁয়াজ, ফল বাংলাদেশ পাঠানো হয়। তবে ভারতে আমদানি হয় না কিছুই। এতে তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে মনে করছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন...
  • Share this:

মালদহ: দীর্ঘ তিন বছর বন্ধ থাকার পর সদ্য খুলে দেওয়া হয়েছে মহদিপুর স্থলবন্দর। আপাতত এখান দিয়ে ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশ রফতানি হচ্ছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসা সহ অন্যান্য প্রয়োজনে বাংলাদেশের চাঁদপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মত এলাকার মানুষ সহজে ভারতে প্রবেশ করতে পারছেন। এতে খুশি হলেও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আরও একটি দাবি আছে। তাঁরা চান, দ্রুত এই বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের পণ্য ভারতের রফতানি করার অনুমতি দেওয়া হোক।

ভারত-বাংলাদেশর অনান্য স্থলবন্দর দিয়ে নিয়মিত দুই দেশের ব্যবসায়ীরা আমদানি-রফতানি করতে পারে। কিন্তু সদ্য খুলে দেওয়া মালদহের মহদিপুর স্থলবন্দর দিয়ে শুধুমাত্র ভারতীয় ব্যবসায়ীরাই বাংলাদেশে পণ্য রফতানি করতে পারছেন। এখান দিয়ে মূলত পাথর, ভুট্টা, পেঁয়াজ, ফল বাংলাদেশ পাঠানো হয়। তবে ভারতে আমদানি হয় না কিছুই। এতে তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে মনে করছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন: একের পর এক দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা হয়নি, বিদ্যুতের তারের উপর দিব্যি ঝুলছে সুপারি গাছ

যদিও প্রশাসনের একটি সূত্র থেকে বলা হয়েছে, মহদিপুর স্থলবন্দরের পরিকাঠামোগত সমস্যা আছে। এখানে পণ্য পরীক্ষা কেন্দ্র এখনও তৈরি হয়নি। এছাড়াও পণ্য আমদানির জন্য যে সমস্ত পরিকাঠামো প্রয়োজন সেগুলিও নেই। তাই বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের পণ্য রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়নি। এই বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার মালদহ মার্চেন্টস চেম্বার অফ কমার্স ও বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্সের মধ্যে এক বৈঠক হয়। এই বৈঠক আয়োজিত হয় মালদহ শহরের বানিজ্য ভবনে। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি ও রফতানি কীভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বর্তমানে মহদিপুর স্থলবন্দর দিয়ে নিয়মিত গড়ে ৩০০ টি লরি বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে যায়। দুই দেশের ব্যবসায়ীদের দাবি, আরও বেশি পরিমাণে পণ্যবাহী ট্রাক প্রতিদিন সীমান্ত পার করুক।

এই ব‌ইঠকে মালদহের ব্যবসায়ীরা জানান, বাংলাদেশের পানামা বন্দরে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা ছোট থাকায় এখান থেকে যাওয়া পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে সমস্যায় পড়তে হয়। লরি খালি করতে সমস্যা হওয়ায় ৭ থেকে ৮ দিন বাংলাদেশে গাড়িকে আটকে থাকতে হয়। এই বৈঠকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা জানান তাঁরাও রফতানির অনুমতি পেলে রাজশাহী ডিভিশনের বহু ব্যবসায়ীর সুবিধা হবে।

হরষিত সিংহ

Published by:kaustav bhowmick
First published: