মেদিনীপুর: চলন্ত পুরী-জয়নগর এক্সপ্রেসে (18419 Puri Jaynagar Express) পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন কটকের (ওড়িশা) সোনি কুমারী। কটক থেকে সমস্তিপুরের (বিহার) উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন সোনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ট্রেন যখন বালেশ্বর (Balasore) পেরিয়ে খুড়দা রোডে ঢুকছে, সেই সময় বাথরুমে যান সোনি। সেখানেই প্রসব বেদনা ওঠে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি সন্তানের জন্ম দেন! ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত্রি প্রায় ৮ টা। ট্রেনের সাধারণ কামরায় যাত্রা করছিলেন সোনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্বামী ছাড়াও নিকটাত্মীয়রা। তবে, তাঁরা কেউই তৎক্ষণাৎ তা টিটি বা রেল পুলিশ বা কাউকেই জানাননি! বেশ কিছুক্ষণ পর রেল কর্তৃপক্ষ তা জানতে পারে এবং সোনিকে হাসপাতালে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রায় সাড়ে ৯ টা নাগাদ মেদিনীপুর স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করানো হয় এবং রেলের তরফে চিকিৎসক, অ্যাম্বুল্যান্স প্রভৃতি ডাকা হয়। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়। তবে, বেঁকে বসেন সোনির স্বামী ও সঙ্গে থাকা আত্মীয়রা। নিতান্ত নিম্নবিত্ত ও অসচেতন পরিবারের সদস্যদের কিছুতেই বোঝাতে পারেন না রেলের আধিকারিকরা। ভীত, আতঙ্কিত পরিবারের সদস্যরা কখনও বলেন, আমাদের কাছে টাকা-পয়সা নেই! কখনও বলেন, গন্তব্যস্থলে (সমস্তিপুর, বিহার) পৌঁছে যা করার করব! মেদিনীপুর স্টেশনে প্রায় এক-দেড় ঘন্টা ধরে চলে নজিরবিহীন টানাপোড়েন। অবশেষে, ওই পরিবারকে বোঝাতে সক্ষম হয় রেল কর্তৃপক্ষ। রাত্রি ১১ টা নাগাদ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় মা ও সদ্যজাতকে। মাতৃমা বিভাগে ভর্তি করা হয় দু'জনকে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।