#পশ্চিম বর্ধমান- এই মুহূর্তে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে জেলাজুড়ে। পশ্চিম বর্ধমান জেলার আনাচে-কানাচে শুধুই শীতের দাপাদাপি (West Bardhaman News)। চলতি সপ্তাহে করোনা সংক্রমনের গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও, অনেক মানুষ ঘরবন্দি থাকছেন স্ব-ইচ্ছায়। উষ্ণতার খোঁজে চায়ের দোকানগুলিতে দেখা যাচ্ছে ভিড়। পশ্চিম বর্ধমান জেলার গ্রামীণ এলাকাগুলিতে শীতের হাত থেকে বাঁচতে আগুন পোহাতে দেখা যাচ্ছে বহু মানুষকে।
তবে এই ঠান্ডা কত দিন বজায় থাকবে? নাকি খেল দেখাবে পশ্চিমী ঝঞ্জা? কিছুটা দ্বিধায় রয়েছেন মানুষজন। অনেকেই বলছেন, যে হারে ঠান্ডা পড়েছে, তাতে বয়স্ক মানুষজন চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন (West Bardhaman News)। কিন্তু অসময়ে বৃষ্টি হলে তা অসুস্থতার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াবে। পাশাপাশি, ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে চাষের। কিন্তু কি বলছে হাওয়া অফিস? কৃষকদের জন্যই বা দুশ্চিন্তা রয়েছে কতটা?
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, নতুন করে দানা বাঁধছে পশ্চিমী ঝঞ্জা। যে কারণে আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত আকাশের মুখ ভার হয়ে থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় রয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে (West Bardhaman News)। তবে ব্যাপক ঝড় বৃষ্টির আশঙ্কা এখনও পর্যন্ত প্রকাশ করেনি হাওয়া অফিস। এই পশ্চিমী ঝঞ্জা আবার নতুন করে শীতের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। ফলে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল, দুর্গাপুর, পানাগড় সহ জেলাজুড়ে কনকনে ঠান্ডার ভাব অনেকটাই কমবে। তবে আকাশ মেঘলা থাকার কারণে, তাপমাত্রার হেরফেরের প্রভাব খুব বিশেষ অনুভূত হবে না।
অন্যদিকে নতুন করে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনায়, আশঙ্কায় ভুগছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যেই শীতের মরশুমে দুবার বৃষ্টি হয়েছে। ফলে, ফুল চাষ এবং শীতকালীন ফসল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা। নতুন করে আবার বৃষ্টি হলে, কৃষি জমিগুলির আরও বেশি ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। বিশেষ করে আলু এবং সর্ষে চাষের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে। অন্যদিকে ফুলচাষিরাও ক্ষতির আশঙ্কায় ভুগছেন। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় তিতিবিরক্ত কৃষকরা।
Nayan Ghoshনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Asansol, Durgapur, Weather Update, West Bardhaman