পশ্চিম বর্ধমান : চলতি বছরে কার্যত খরা পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গে। চৈত্র মাস শেষ হওয়ার পরে বৈশাখের প্রথম সপ্তাহেও বৃষ্টির দেখা নেই। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলি তীব্র দাবদাহে জ্বলছে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান জেলাগুলি এই তীব্র দাবদাহে জ্বলছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বহু জায়গায় বাড়ছে জল কষ্টের সমস্যা। আর এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘ দুই দশক ধরে জলকষ্টের সঙ্গে দিন কাটাচ্ছেন বারাবনির দোমাহানি ব্লকের তিলপাড়া গ্রামের মানুষজন। স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বারবার প্রশাসনের কাছে এই সমস্যা নিয়ে দরবার করা হয়েছে। কিন্তু কোনও সুরাহা মিলেনি। জলকষ্টের সঙ্গে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। পানীয় জল জোগাড় করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়। দু কিলোমিটার দূরে গিয়ে সংগ্রহ করতে হয় পানীয় জল। প্রায় কুড়ি বছর ধরে একই সমস্যার সঙ্গে তারা জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও কোনও লাভ হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই এবার তারা পথে নেমেছেন শুক্রবার। দোমাহানি আসানসোল রাস্তায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তিলপাড়া গ্রামের মানুষজন। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গিয়েছে স্থানীয় গ্রামবাসীদের। পুরুষ-মহিলা, বাচ্চা-বয়স্ক নির্বিশেষে সকলেই রাস্তায় নেমেছিলেন এদিন।ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ অবরোধ তুলে দেয়। আশ্বাস দেওয়া হয়েছে দ্রুত এই পানীয় জলের সমস্যা মেটানো হবে। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না তিলপাড়া গ্রামের মানুষজন।তারা অপেক্ষা করছেন, দীর্ঘ কুড়ি বছরের অভিশাপ কবে কাটবে। কবে তাদের বাড়িতে পৌঁছাবে পানীয় জল। তারা আশা করছেন, যেন দ্রুত তাদের আর পানীয় জল সংগ্রহ করতে প্রতিদিন দু কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে না হয়। যদিও উত্তর এখনও অজানা তিলপাড়া গ্রামের মানুষের কাছে। তবে প্রশাসনের কাছে প্রাথমিকভাবে আশ্বাস পেয়ে তারা অবরোধ তুলে নিয়েছেন। Nayan Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Asansol, Paschim bardhaman