#দুর্গাপুর: মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, ইউক্রেন ফেরত রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য উদ্যোগ নিয়ে পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। অন্যদিকে অনলাইনে শুরু হয়েছে ক্লাস (Ukraine Student)। তারপরেও সুনিশ্চিত নয় ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ। কীভাবে হবে প্রাকটিক্যাল ক্লাস, তার উত্তর এখনও অজানা। আপাতত কিছুটা চিন্তা মুক্তি হলেও, আগামী দিনে কি করে চলবে পঠন-পাঠন, কতদিনেই বা রাজ্যে পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে, এইসব বিষয়গুলি নিয়ে দ্বন্দ্বের সঙ্গে দিন কাটছে অনেক পড়ুয়ার।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দুমাস অতিক্রান্ত (Russia-Ukraine War)। এখনও পর্যন্ত রুশ বাহিনী ইউক্রেনে ক্রমাগত আঘাত হেনে চলেছে। যদিও তীব্রতা কমেছে। তবে বন্ধ হয়নি যুদ্ধ। অন্যদিকে, ইউক্রেন সেনাও সমানতালে পাল্টা জবাব দিয়ে যাচ্ছে। এইসবের মধ্যে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হতে দেখা বেশ কিছু পড়ুয়ারা পুরনো ছন্দে ফিরেছেন। ইউক্রেনে ফেরত যেতে পারেন নি তারা। তবে আবার ডাক্তারির পড়াশোনা শুরু হয়েছে। আপাতত তারা অনলাইনের ওপর ভরসা রেখে চালিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের পাঠক্রম। এমনটাই জানা গিয়েছে ইউক্রেন ফেরত দুর্গাপুরের দুই জমজ বোন রুমকি এবং ঝুমকি গাঙ্গুলীর পরিবারের তরফ থেকে।
রুমকি এবং চুমকির বাবা ধীরেন গাঙ্গুলী জানিয়েছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মেয়েদের নিয়ে চিন্তায় ছিলেন। মেয়েরা যখন বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরে আসে, তখন চিন্তা কমেছিল। কিন্তু মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে আসায় চিন্তার কবলে পড়েছিল দুই মেয়ে। কীভাবে পড়াশোনা শেষ করবে, সেই ভেবে চিন্তায় ঘুম উড়েছিল তাদের। কিন্তু বর্তমানে তারা কিছুটা স্বস্তিতে। এই স্বস্তির মূল কারণ দুটি। প্রথমটি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস, অপরটি অনলাইনে পড়াশোনা শুরু হওয়া। ইউক্রেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে আপাতত অনলাইনে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে পড়াশোনা। মেয়েরাও ক্লাসে যোগ দিচ্ছেন(Durgapur)।
ধীরেন বাবু আরও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের উপর ভরসা করে তারা বসে রয়েছেন। মেয়েরা আপাতত ক্লাস শুরু করেছে। পাশাপাশি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে মেয়েরা। পড়াশোনা কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তা নিয়ে সব সময় আলোচনা চলছে। অন্যদিকে, ইউক্রেনের যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেয়েরা পড়াশোনা করছিলেন, সেখান থেকেই অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানকার অধ্যাপক, অধ্যাপিকারা ক্লাস করাচ্ছেন। কিন্তু তারা দেশে বসেই ক্লাস করাচ্ছেন, নাকি অন্য কোথাও থেকে ক্লাস করাচ্ছেন, সে বিষয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেন নি তিনি। ধীরেন বাবু চাইছেন, রাজ্যে যদি মেয়েদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, তাহলে আর ইউক্রেনে মেয়েদের ফেরত পাঠাবেন না। আবার জমজ দুই বোনের মা তথা চিকিৎসাকর্মী সুনন্দা গাঙ্গুলী নিজেও মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যেতে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস করানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, দুর্গাপুরের ইউক্রেন ফেরত আর এক পড়ুয়া নেহা খান আপাতত অনলাইনে ক্লাস শুরু করেছেন (Durgapur)। নিয়মিত ভার্চুয়ালে তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে তার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি তার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নেহা খান ইউক্রেনে ডাক্তারির প্র্যাকটিস শুরু করেছিলেন। কিন্তু মাঝপথে দেশে ফিরে আসতে হয়েছে। তবে ইউক্রেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে রাজ্যের একটি হাসপাতালে প্রাকটিসের ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে বলেও তার পরিবার সূত্রে খবর। তবে তিনি আর ফেরত যাবেন কিনা, বা কীভাবে আগামী দিনে পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যাবেন, সে বিষয়ে পরিবারের তরফ থেকে খোলসা করা হয়নি।
Nayan Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।