#পশ্চিম বর্ধমান- করোনার সংক্রমণ রোধে বারবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে সওয়াল করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকারের পক্ষ থেকে লাগাতার ভ্যাক্সিনেশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে সমস্ত মানুষ এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিতে পারেননি, বা নেন নি, তাদের ক্ষেত্রে আশঙ্কা বেশি রয়েছে। তাই সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ার অনুরোধ করছেন চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞরা। সেই টিকাকরণ কর্মসূচিকে আরও কিছুটা সুগম করতে, জেলা জুড়ে শুরু হল মোবাইল ভ্যাক্সিনেশন কর্মসূচি (West Bardhaman News)। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় সূচনা হল মোবাইল ভ্যাকসিন ভ্যানের।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসকের দফতরের সামনে মোবাইল ভ্যাক্সিনেশন ভ্যানের সূচনা করা হয়েছে (West Bardhaman News)। একটি সামাজিক সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এই ভ্যাক্সিনেশন কর্মসূচি চালাবে স্বাস্থ্য দফতর। সেই কর্মসূচির সূচনা হয়েছে শুক্রবার পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। সংস্থাটির সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের এই হাত মেলানোর লক্ষ্য, প্রতিটি মানুষের দুয়ারে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া। প্রত্যেকটি মানুষকে টিকাকরণ এর আওতায় আনা। অনেকেই যারা শারীরিক সমস্যা, অসুস্থতা, বা অন্য কারণে টিকাকরণ কেন্দ্রে যেতে পারেননি, তাদের এই মোবাইল ভ্যাকসিন ভ্যানের সাহায্যে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে প্রতিটি মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যাবে। পাশাপাশি সংক্রমণ রোধে এই পদক্ষেপ যথেষ্ট কার্যকরী হবে বলে মনে করছেন তারা।
উল্লেখ্য, সামাজিক সংস্থাটির তরফ থেকে রাজ্যের ২৮ টি জেলা জুড়ে এই ক্যাম্পেন চালানো হচ্ছে। তাদের মূল লক্ষ্য, যে সমস্ত মানুষ এখনও টিকা পাননি, তাদের টিকা দেওয়া। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে সংস্থাটি। প্রয়োজন মত প্রথম ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ - সমস্ত কিছুই পৌঁছে দেবে সংস্থাটি। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় তিনটি মোবাইল ভ্যাকসিন ভ্যান রাখা হয়েছে (West Bardhaman News)। তা ছাড়াও কাজ করবে দশটি মোবাইল ভ্যাকসিন অটো। মোট ১৪ জন কর্মী এই কাজে হাত লাগাবেন। আশা কর্মী এবং ব্লক স্তরে যারা কাজ করেন, তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই টিকাকরণ কর্মসূচি চলবে। বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকা থেকে শুরু করে কর্পোরেশন, ব্লকে ব্লকে পৌঁছে তারা মানুষকে টিকা দেওয়ার কাজ চালাবে। সংস্থার তরফ থেকে এমনটাই জানিয়েছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার কো-অর্ডিনেটর আবিদ সর্দার। তবে এই ভ্যাকসিনের যোগান দেবে রাজ্য সরকার।
সামাজিক সংস্থার সঙ্গে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের হাত মিলিয়ে এই মোবাইল ভ্যাক্সিনেশন কর্মসূচিকে স্বাগত জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এর ফলে যেমন প্রান্তিক এলাকার মানুষজন ভ্যাকসিন পাবেন, ঠিক তেমনভাবেই ভ্যাকসিন পাবেন বয়স্করাও। তাছাড়াও ভ্যাক্সিনেশন কেন্দ্রের ভিড় এড়ানো যাবে। তার ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কাও কমবে। সব মিলিয়ে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ দিচ্ছেন সবাই।
Nayan Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।