#দুর্গাপুর: দুই শতাব্দীপ্রাচীন রক্ষাকালী পুজো। রক্ষাকালী পুজো ঘিরে গ্রামের মানুষের উদ্দীপনা লক্ষ করা যায়। দেবীর পুজো শুরু হয়েছিল প্রায় ২০০ বছর আগে স্বপ্নাদেশ পেয়ে। এক রাখাল স্বপ্নাদেশ পেয়ে কুঁড়েঘরে শুরু করেছিলেন দেবীর পুজো। গ্রামবাসীদের মধ্যে কথিত আছে, কলেরা মহামারী থেকে তিনি নাকি রক্ষা করেছিলেন গ্রামকে। তারপর থেকে গ্রামে সেই অর্থে কখনও বড় বিপদ নেমে আসেনি। দুর্গাপুজোর থেকে বেশি সাড়ম্বরে রক্ষাকালীর পুজো পালিত হয় দুর্গাপুরের ফরিদপুর ব্লকের নবঘনপুর গ্রামে।
এই পুজোকে ঘিরে প্রচলিত রয়েছে নানান অলৌকিক কাহিনী। প্রত্যেক বছর বৈশাখ মাসের অমাবস্যা তিথিতে রক্ষাকালী পুজো হয় এই গ্রামে। পুজোর সময় বসে মেলা। আয়োজন করা হয় যাত্রাপালার। এই যাত্রাপালা নিয়েও প্রচলিত রয়েছে একটি অলৌকিক কাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দারা বিশ্বাস করেন, পুজো উপলক্ষে যে দুদিন যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়, তা দেবী স্বয়ং চাক্ষুষ করেন। সেজন্যই মন্দিরের ঠিক সামনেই বানানো হয় যাত্রাপালার মঞ্চ। এক বছর সেই মঞ্চ অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই যাত্রাপালা ভণ্ডুল হয়ে যায়।
তাছাড়াও দেবীর পুজোর জন্য যে পুকুর থেকে ঘটে জল ভর্তি করে আনা হয়, তা নিয়ে একটি অলৌকিক কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এক বছর খরার জন্য গোটা গ্রামের সমস্ত পুকুরের জল শুকিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অলৌকিকভাবে গ্রামবাসীদের হাতে তৈরি একটি চৌবাচ্চা থেকে জল নিয়ে দেবীর পুজো হয়। সেই চৌবাচ্চাটি বর্তমানে পুকুরে পরিণত হয়েছে এবং সেখানকার জল নিয়ে এখনও চলে আসছে পুজো। গ্রামবাসীদের কাছে অনেক বেশি মাহাত্ম্য রয়েছে এই দেবীর। নিষ্ঠার সঙ্গে এই পুজোর আয়োজন করা হয় গ্রামে। বর্তমানে পাকা মন্দির তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু পুজো চলে আসছে সেই পুরোনো নিয়মেই।
Nayan Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Asansol, Kali maa, West Bardhaman