#উলুবেড়িয়া: সাপ, বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় অন্যান্য প্রাণীদের মতোই একটি গুরুত্বপূর্ন প্রাণী। কিন্তু পৃথিবীর অন্যতম ভয়ংকর সুন্দর এই প্রাণীটির নাম শুনলেই এককালে গায়ে কাঁটা দিত জেলার বাসিন্দাদের। ঝোপে-ঝাড়ে, ইটের পাঁজায়, মাছ ধরার যন্ত্রে বা বাড়ির মধ্যে এই প্রাণীটিকে দেখতে পেলেই তাকে লাঠি, শাবল দিয়ে মারতে উদ্যত হতো আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। গত কয়েক দশক আগেও হাওড়ার উলুবেড়িয়া, বাগনান, শ্যামপুর, জগৎবল্লভপুরের মতো গ্রামীণ এলাকায় ধরা পড়তো এই ছবি। কিন্তু বর্তমানে সেই ছবির অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে বলেই মনে করছেন পশুপ্রেমীরা।
কয়েক বছর আগেও যেখানে সাপ দেখা গেলেই গ্রামের শয়ে শয়ে মানুষ একযোগে তাকে মারতে উদ্যত হতো, বর্তমানে সেইসব এলাকা থেকেই বনদপ্তর ও অন্যান্য পরিবেশ সংগঠনগুলির কাছে ফোন যাচ্ছে সাপগুলিকে উদ্ধারের জন্য। বুধবারই মায়াচর ও হাওড়ার শ্যামপুর থেকে এরকমভাবেই মাছ ধরার জালে আটকে পড়া একটি ঘরচিতি , একটি কেউটে ও একটি চন্দ্রবড়া সাপকে উদ্ধার করে স্বপ্নের শহর শ্যামপুর সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।
কিন্তু কিভাবে মানুষের মধ্যে সাপ বিষয়ে এতটা সচেতনতা বেড়েছে সেই বিষয়ে শ্যামপুরের এক পরিবেশপ্রেমী জানান, "আমাদের অনেক পাঠ্যবইয়ে ছোটবেলা থেকেই সাপকে একটি ভয়ঙ্কর ও বিষধর প্রাণী হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়। বড়ো বয়সের কোনো বইতেও সাপ বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা সেভাবে পাওয়া যায় না। তাই ছোটবেলা থেকেই মানুষের মধ্যে সাপ বিষয়ে একটি ভ্রান্ত ধারণা থেকে যায়। কিন্তু বাস্তবে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি সাপই বিষধর। গত কয়েকবছরে বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন গ্রামীণ এলাকায় সাপ বিষয়ে সচেতনতায় যেভাবে প্রচার চালিয়েছে তাতে মানুষ অনেকটাই সচেতন হচ্ছে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেসবুক ও ইউটিউবে সাপ উদ্ধারের বিভিন্ন ভিডিও দেখে তারা নিজের থেকেই ফোন করছে আটকে পড়া সাপকে উদ্ধারের জন্য।" হাওড়ার বাগনানের আরেক পরিবেশপ্রেমী চিত্রক প্রামাণিকও একইভাবে মানুষের সচেতনতার জন্য এইসব কারণগুলিকেই গুরুত্ব দিলেন। তবে গ্রামীণ হাওড়ার বেশ কিছু এলাকায় সাপ বিষয়ে এখনও সচেতনতার প্রচার যথেষ্ট আছে বলেই জানান ওই দুই পরিবেশপ্রেমী।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Howrah, Snake rescue