মাধব দাস, বীরভূম : আম মানেই মালদা, সেখানে নানান ধরনের আমের খোঁজ মেলে। তবে বীরভূমে খোঁজ মিলেছে হাতে-গরম গাছ পাকা আমের, যা বোধহয় অন্যান্য জায়গার আমকেও হার মানাবে। \'হাতে গরম গাছ পাকা আম\', এ আবার কি ধরনের আম! এটাই ভাবছেন তো? আসলে বীরভূমের একটি জায়গায় সরাসরি গাছ থেকে পাকা আম পেড়ে বিক্রি করা হয়। আর এই নির্ভেজাল পাকা আম পেয়ে ক্রেতারা বলে থাকেন \'হাতে-গরম গাছ পাকা আম\'।হাতে গরম এমন গাছ পাকা আম মিলবে বীরভূমের সদাইপুর থানার অন্তর্গত সগরের আমবাগানে। সিউড়ি থেকে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে দুবরাজপুর যাওয়ার পথে চিনপাই গ্রাম পার হওয়ার পর বক্রেশ্বর নদীর পাশে রয়েছে সগর গ্রাম। জাতীয় সড়ক ধরে যাওয়ার সময় এই গ্রামের দিকে চোখ রাখলেই চোখে পড়বে এই বিশাল আকারের আমবাগানটি।সগর গ্রামে এই বিশাল আকারের আম বাগানটি তৈরি করা হয়েছে দুবরাজপুর ব্লক এবং চীনপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের যৌথ সহযোগিতায়। এই আম বাগানে এই মুহূর্তে ১১২০ টির বেশি আম গাছ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ৪০০টির বেশি পেয়ারা গাছ। আম গাছ বলতে এখানে আছে ল্যাংড়া, আম্রপালি, ফজলি এবং হিমসাগর সহ আরও অন্যান্য প্রজাতির গাছ। বীরভূমের এই প্রত্যন্ত গ্রাম এখন আমের ভান্ডার হয়ে উঠেছে।এই বিশালাকার আমবাগান থেকে যে কেউ আম কিনতে পারেন। বাজারে আমের যে দাম সেই দামে বিক্রি করা হয়। তবে তফাৎ একটাই, এই আম বাগান থেকে আম কেনার সময় ক্রেতারা গাছ থেকে নিজেদের পছন্দমতো আম বেছে নিয়ে কিনতে পারবেন। বাজারের সমান দাম হলেও হাতে গরম পাকা আম পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে বাসিন্দারা ছুটে আসেন। এমনকি কলকাতা এবং অন্যান্য জায়গাতেও যাত্রীরা যাওয়ার পথে এই আম বাগান থেকে আম কিনে নিয়ে যান।আমবাগানের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, \"আমাদের এই আম বাগানে যে পরিমাণ আম চাষ হয় তার সবটা তো আর এখান থেকে ক্রেতারা কিনে নিয়ে যান না। ক্রেতারা যেটুকু কিনে নিয়ে যান তার পর অবশিষ্ট আম আমরা পাঠিয়ে দিই সিউড়ি, দুবরাজপুর, পাণ্ডবেশ্বর, কলকাতা সহ অন্যান্য বাজারে।\"