#পাঁশকুড়া: পাঁশকুড়া ব্লকের নস্করদিঘী গ্রামের ৩০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী রথ টানা হল মাঘী পূর্ণিমার দিন। বছরের-পর-বছর মাঘী পূর্ণিমার দিন এই রথ টানা হয়। কথিত আছে, দীর্ঘ বছর আগে একসময় নস্করদিঘী গ্রামের এক ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান, উপনয়ন হওয়ার সময় গৃহত্যাগ করে সন্ন্যাস হয়ে বৃন্দাবন চলে যায়। বহু বছর পরে ঐ ব্রাহ্মণ সন্তান ফিরে আসে রঘুনাথজীউর শালগ্রাম শীলা গলায় ঝুলিয়ে নস্করদিঘী গ্রামের ওই স্থানে। সেই থেকে রঘুনাথজীউ মন্দির প্রতিষ্ঠা শুরু হয়। জমিদার আমল থেকে রঘুনাথজীউ মন্দির নির্মানের সময় টেরাকোটা কিছু কাজ হয়েছিল ওই মন্দিরে, যা বর্তমানে ক্ষয়প্রাপ্ত। সেই থেকেই মাঘী পূর্ণিমার দিন রথযাত্রা শুরু হয়।
এই মন্দিরে ১৩ চূড়া তৈরি হলেও, একসময় সংস্কারের পর ৯টি চূড়া তৈরি হলে তা নবরত্ন মন্দির নামে প্রতিষ্ঠা হয়, যা গ্রামের কাছে রঘুনাথ মন্দির হিসেবে পরিচিত। তবে এই মন্দিরের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাকাল সম্পর্কে সংশয় থেকেই যাচ্ছে সকলের মনে। রঘুনাথ মন্দিরের পুরোহিত শিবরাম পান্ডা বলেন, "ঐতিহ্যবাহী জমিদার আমলের রঘুনাথজীউর রথ মাঘী পূর্ণীমায় টানা হয়, এবং রঘুনাথের নিজস্ব জমি জায়গা রয়েছে, সেখানেই রথ যায়, সাতদিন পর আবার মন্দিরে ফেরত আসে।" স্থানীয় প্রাক্তন শিক্ষক মানস কুমার পতি বলেন, মাঘী পূর্ণিমার দিন রথ টানা হয়। তার টানেই নস্করদিঘী গ্রামের মানুষজন উপস্থিত হয় মন্দির প্রাঙ্গনে। সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রিত হয় এই মন্দির প্রাঙ্গণে। জমিদার আমল থেকে রঘুনাথজীউ মন্দির প্রতিস্থাপিত হয়। প্রতিদিন অন্নভোগ হয় রঘুনাথের জন্য। মন্দিরের শালগ্রাম শীলাই মন্দিরের আসল দেবতা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Medinipur, Panskura