হলদিয়া: দ্বীপে বাড়ছে বাল্য বিবাহ। রয়েছে জমি নিয়ে জটিলতা সহ একাধিক সমস্যা। দ্বীপে পরিকাঠামো বলতে নয়াচর কোস্টাল থানার দোতালা পাকাবাড়ি। থানায় নেই লোক লসকর। সেই থানার কাছেই আইনি সচেতনতা শিবির করে দ্বীপের মহিলাদের কাছে পৌঁছে গেলেন পূর্ব মেদিনীপুরের এ্যাসিস্ট্যান্টে শেসন জর্জ সুমন কুমার ঘোষ। সুমন কুমার ঘোষ জেলা আইনী পরিষেবার সেক্রেটারীও। সুমনবাবু ছাড়া উপস্থিত ছিলেন তালুকের অতিরিক্ত জেলা জজ দ্বিতীয় আদালত (পকসো) লোকেশ পাঠক।
হলদিয়া শিল্পাঞ্চল থেকে তিন কিলোমিটার ও বঙ্গোপসাগর থেকে কিলোমিটার দূরে হলদিয়ায় প্রস্তাবিত কুলপি বন্দরের মাঝে হলদি নদী মাঝে জেগে ওঠা আড়াইশ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই নয়াচর। নেই বিদ্যুৎ, নেই রাস্তাঘাট, নেই কোনো পরিকাঠামো। হলদিয়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবি সম্প্রদায়ের মানুষের বাস এই নয়াচরে। পাঁচ হাজার মানুষ স্থায়ীভাবে বসবাস করে এই নয়াচরে। কিন্তু নয়াচর মৎস্য চাষ কে কেন্দ্র করে কুড়ি হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল। প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই পরিকাঠামোর উন্নতিতে নয়াচরকে হলদিয়া পুরসভার অন্তর্ভুক্ত করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছে পুরকর্তৃপক্ষ। দ্বীপে বাল্যবিবাহ সহ জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদ ছাড়াও নানান ধরনের ছোটখাট অপরাধ লেগেই আছে। নয়াচর দ্বীপের মানুষের কাছে বিচার ব্যবস্থা এখনো অধরা। নয়াচর দ্বীপের মানুষের কাছে আইনি পরিষেবা পৌঁছে দিতে উদ্যোগী জেলা আইনি পরিষেবা পরিষদ। দ্বীপের মানুষের মধ্যে আইনি সচেতনতা গড়ে তুলতে শিবিরের আয়োজন করা হয় নয়াচরে।
দ্বীপের বাসিন্দারা যাতে বিনা পয়সায় আইনী পরিষেবা পান, সে বিষয়ে সচেতন করেন জেলা আইনি পরিষেবা পরিষদের সেক্রেটারি সুমন কুমার ঘোষ ও পকসো আদালতের অতিরিক্ত বিচারপতি লোকেশ পাঠক। শিবিরে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। দুই বিচারপতি দ্বীপের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। বাল্য বিবাহ, জমি জমা সংক্রান্ত সমস্যা ও আইন শৃঙ্খলা সহ সমস্যার কথা নয়াচরের বাসিন্দারা জানায়। শিবির থেকে তাদের আশ্বাস দেওয়া হলদিয়া আদালতে এই বিষয়ে অফিস রয়েছে। সেখানে তারা সাহায্য পেতে পারেন। কিন্তু দ্বীপ থেকে হলদিয়ায় যাতায়াত কার্যত অগম্য।
জেলা আইনী পরিষেবা পরিষদের সেক্রেটারী সুমন ঘোষ জানান, "এখানে যাতায়াতের সমস্যার বিষয়টি প্রশাসনকে জানাবো। এই দ্বীপের মানুষের প্রয়োজনে অদূর ভবিষ্যতে আইনী পরিষেবা কেন্দ্র দ্বীপেই শুরু করতে চাই। তা ছাড়া প্রশাসনের সহযোগিতায় আইন সহায়করা যাতে দ্বীপে নিয়মিত আসতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হবে।" পুলিশের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে জেলার আইনি পরিষেবা পরিষদের সেক্রেটারি সুমন কুমার ঘোষ আরও জানান, মানুষের নানান সমস্যার কথা তারা লিখে নয়াচর উপকূল থানায় রাখবেন। সেখান থেকেই তারা তা সংগ্রহ করবেন বিচারকরা এসেই এভাবে তাদের সঙ্গে কথা বলায় খুশি নমিতা দাস তপন ভূঁইয়ারা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Haldia, Purba medinipur