#তমলুক: বাংলা আবাস যোজনা বা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, একের পর এক বেনিয়ম উঠে আসছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে (East Medinipur News)। কোথাও উপভোক্তারা বাড়ি না করেই টাকা আত্মসাৎ করেছে, কোথাও আবার রায়ত জমি না থাকা সত্ত্বেও উপভোক্তারা পেয়েছে বাড়ি নির্মাণের জন্য আবাস যোজনার টাকা। আর সেই টাকায় সরকারি জায়গা দখল করে হচ্ছিল বাড়ি নির্মাণ। অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা নিল ব্লক প্রশাসন। উপভোক্তাদের অবিলম্বে নিজেদের রায়ত জমিতে ঘর নির্মাণ করতে হবে নতুবা যোজনার টাকা ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খাল দখল করে নির্মানের অভিযোগ হামেশাই ওঠে। এবার সেচ দফতরের জায়গায় সরকারি প্রকল্পেরই বাড়ি তৈরির অভিযোগ উঠল শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে (East Medinipur News)। বিষয়টি জানাজানি হতেই, অবিলম্বে কাজ বন্ধ করতে বিডিও এবং সেচ দফতরকে চিঠি দিয়েছে সোয়াদিঘি খাল সংস্কার সমিতি। সরকারি জায়গায় বাড়ি তৈরির অনুমোদন এবং অনুদান কীভাবে মিলল, সে নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন!
পাঁশকুড়া, কোলাঘাট ও শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার জল নিকাশি হয় জফুলি এবং সোয়াদিঘি খাল দিয়ে। অভিযোগ, খাল দুটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় এবং খাল দখল করে নির্মান হওয়ায়, চলতি বছর বর্ষায় প্রায় চার মাস জলমগ্ন ছিল তিনটি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা (East Medinipur News)। এখনও বেশ কিছু মৌজায় চাষের জমিতে জমে রয়েছে জল। অভিযোগ, সম্প্রতি বাহির আগাড় মৌজায় একজন ব্যক্তি জফুলি খালের পাশে জমি দখল করে বাংলা আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছেন। আর হোগলবেড়িয়া মৌজায় আরও চারজন ব্যক্তি সোয়াদিঘি খালের উপরে আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির তোড়জোড় শুরু করেছে।
দুটি এলাকাই সেচ দফতরের জায়গায় আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির অনুমোদন কীভাবে পেলেন ওই ব্যক্তিরা? বল্লুক দুই পঞ্চায়েতের প্রধান উত্তম বর্মন বলেন, "রায়ত জায়গা ছাড়া কেউ আবাস যোজনার টাকা পেতে পারেন না। ওই ব্যক্তিরা রায়ত জায়গা দেখানোর পরই আবাস যোজনার অনুমোদন পেয়েছেন। কিন্তু এখন শুনছি ওরা সেচ দফতরের জায়গায় বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছে। সম্প্রতি এই নিয়ে লিখিত অভিযোগ আসে বিডিওর কাছে । ব্লক প্রশাসন থেকে নির্দেশ এসেছে, রায়ত জায়গায় কেউ বাড়ি না করলে বাড়ির টাকা ফেরত দিতে হবে"।
Saikat Sheeনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।