#পূর্ব বর্ধমান: স্বামীর সঙ্গে সংসার করলেই নেওয়া যাবে না সন্তান। স্ত্রীকে নিদান দিয়েছিল স্বামী। সেই নিদান স্ত্রী না মানায় পেটে লাথি মেরে তাঁর গর্ভে থাকা সন্তানকে হত্যা করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বধূ চায়না বিবি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবার পরই তিনি কালনা থানার দ্বারস্থ হলেন। গর্ভের সন্তানকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করার জন্য তিনি তাঁর স্বামী কামালউদ্দিন মন্ডল সহ শ্বশুর বাড়ির দুই সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন থানায় (East Bardhaman News)। আর এরইমধ্যে গা ঢাকা দিয়েছে চায়নার স্বামী সহ অপর অভিযুক্তরা। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার ধর্মডাঙ্গা মোড় এলাকায়। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত প্রতিবেশীরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগেই হুগলির বলাগড় থানার আইদা গ্রাম নিবাসী চায়নার সঙ্গে বিয়ে হয় কালনার ধর্মডাঙ্গার যুবক কামালউদ্দিন মণ্ডলের(East Bardhaman News)। বধূ চায়না বিবির অভিযোগ, বিয়ের পরই তাঁর স্বামী তাঁকে এক আশ্চর্য ফতোয়ার কথা জানিয়ে দেন। চায়না জানান, তাঁর স্বামীর ফতোয়া ছিল, স্বামীর সঙ্গে সংসার করলেও নেওয়া যাবে না সন্তান। কিন্তু বিয়ের পর ছয় মাসের মধ্যে চায়না বিবি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। আর তাতেই চটে যান কামালউদ্দিন। গর্ভের সন্তান কে নষ্ট করে দিতে হবে বলে কামালউদ্দিন জানিয়ে দেন স্ত্রীকে।
চায়না বিবি এমন নিদান না মানায় স্বামী কামালউদ্দিন সহ শ্বশুর বাড়ির দুই সদস্য তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে শুরু করে। চায়না তাঁর গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করতে চান নি। এরপর কামালউদ্দিন তাঁর স্ত্রী চায়নার পেটে সজোরে লাথি মেরে তাঁর গর্ভে থাকা চার মাসের সন্তানকে হত্যা করেন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে কামালউদ্দিন ও তার বাড়ির সদস্যরা চায়নাকে ভর্তি করে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ভর্তি করে পালিয়ে যান তারা বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি আসেন চায়নার বাপের বাড়ির লোকজন (East Bardhaman News)। হাসপাতালে চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে চায়নার গর্ভে থাকা মৃত চার মাসের সন্তানকে বার করে। কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই কালনা থানায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে চায়না বিবি। তারপর থেকেই পলাতক স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। চায়না বিবি আরও জানান, স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের এমন নিষ্ঠুরতা তিনি মেনে নিতে পারেন নি। তাই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবার পরই থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের সন্ধান চালানো হচ্ছে।
Malobika Biswasনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Bardhaman