#পূর্ব বর্ধমান: বিনা পণে বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী নাবালিকা মেয়েকে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে দিয়েছিল বাবা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় নি। ঘটনার খবর পেয়েই পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার পুলিশ পৌঁছে বন্ধ করল নাবালিকার বিয়ে (East Bardhaman News)। বেরোয়া গ্রামে পৌঁছে নাবালিকা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর বিয়ে রুখে দিল পুলিশ। তাঁরাই ছাত্রীকে নিয়ে গেল পরীক্ষা কেন্দ্রে। এদিন নিরুপায় হয়ে বউ ছাড়াই টোপর হাতে ওই রাতেই নিজের বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হল বর। শ্বশুরবাড়ি যেতে না হওয়ায় মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিল ভাতারের মাহাতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাতারের বেরোয়া গ্রামে থাকে ওই ছাত্রী। তারা দুই বোন, দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাদের বাবা জন মজুরির কাজ করেন৷ মা গৃহবধূ। মাহাতা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ছাত্রীটি। তাঁর সিট পড়েছে এরুয়ার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে (East Bardhaman News)। যে যুবক তাকে বিয়ে করতে এসেছিলেন তার বাড়ি বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি থানার তালিত গ্রামে।
ছাত্রীটি জানান, মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার জন্য সে পড়াশুনা করছিল। পরীক্ষা না দিয়ে ছাদনাতলায় বিয়ের পিঁড়িতে বসার কোন চিন্তাভাবনা তার মাথাতেই ছিল না। এক প্রকার জোর করেই তাঁকে বিয়ের পিঁড়িতে বসার জন্য বাধ্য করা হচ্ছিল। তবে অবশ্য ভাতার থানার ওসি সৈকত মণ্ডলের জন্য তা আর কেউ করতে পারে নি। তাই এদিন ভালোভাবেই মাধ্যমিকের দিতে পেরেছেন ছাত্রীটি। নাবালিকা ওই ছাত্রী আরও জানান, পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ভাবে না। লেখাপড়া শিখে নিজেকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করাই তাঁর এখন একমাত্র লক্ষ্য । ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দিতে পারবেন না বলে ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে মুচলেকাও লিখে দিয়েছেন বলে ছাত্রীর অভিভাবকরা জানিয়েছেন (East Bardhaman News)। এই ঘটনার কথা জেনে ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা ভাতার থানার পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
Malobika Biswasনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Bardhaman, Minor Marriage