হোম /খবর /পূর্ব বর্ধমান /
এক মাসে ১০ জন প্রসূতির মৃত্যু! জেলায় বাড়ছে উদ্বেগ

East Bardhaman News- প্রসূতি মৃত্যুর হার কমাতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বৈঠক করলেন জেলাশাসক

এক মাসে ১০ জন প্রসূতি মারা গেছেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। উদ্বেগ বেড়েছে জেলা প্রশাসনিক মহলে

  • Hyperlocal
  • Last Updated :
  • Share this:

    #পূর্ব বর্ধমান: পর পর ১০জন প্রসূতি মারা গেছেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (East Bardhaman News)। গত জানুয়ারি মাসে প্রসূতি মৃত্যুর সংখ্যা ছিল চার ও ফ্রেব্রুয়ারি মাসে ছিল তিন। আর সেই সংখ্যাই মার্চ মাসে ছিল ১০। স্বাভাবিকভাবেই মাতৃত্বকালীন প্রসবের সময় ও পরে প্রসূতি মৃত্যুর সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে জেলা প্রশাসনিক মহলে। আর তাই মাতৃত্বকালীন প্রসূতি মৃত্যুর হার যাতে কমানো যায়, সে ব্যাপারে জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলার উপস্থিতিতে হল একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই হল এই বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, হাসপাতাল সুপার, মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল সহ কালনা ও কাটোয়া হাসপাতালের সুপারেরা।

    এই নিয়ে জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা বলেন, "গত বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মাতৃত্বকালীন প্রসবের জন্য আসা ৫৭ জন প্রসূতি বিভিন্ন কারণে মারা গেছেন। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে মারা গেছেন ১৭ জন। তার মধ্যে মার্চ মাসেই মৃত্যু হয়েছে ১০জন প্রসূতির। মৃত্যুর এই হার দ্রুত কমানোর জন্যই এদিন আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করা হল।" বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের সার্বিক পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

    অন্যদিকে, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় বলেন, "প্রসবকালীন মৃত্যুর হার বছরে গড়ে তিন থেকে চার জনের মধ্যে থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু গত মাসে এই সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে, কালনা, কাটোয়া হাসপাতাল সহ অন্যান্য ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে অনেক প্রসূতিকে সংকটজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ধরনের প্রসূতির অবস্থার অবনতি হওয়ায় মৃত্যু ঘটে। এই সমস্ত বিষয় নিয়েও এদিন আলোচনা করা হয়েছে। জেলার মহকুমা হাসপাতাল ও গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন করা নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে জানানো হবে।" (East Bardhaman News)

    Malobika Biswas

    First published:

    Tags: East Bardhaman