রুদ্র নারায়ন রায়, উত্তর ২৪ পরগনা: গ্রীষ্মের ফলের মধ্যে আমের চাহিদা সব থেকে বেশি। বিভিন্ন প্রজাতির আম মেলে এই সময়ে। গোলাপখাস, ল্যাংড়া, হিমসাগর, গোপালভোগ সহ আরও নানান প্রজাতির। দামও থাকে বেশ চড়া। ফলে আম চাষ করে অনেকটাই লাভের মুখ দেখেন আম চাষিরা। তবে এবার আম নয়, আমপাতা বিক্রি করেই ঘরে মুনাফা তুলছেন কৃষকরা। পুজো পার্বণে আম পাতার অর্থাৎ আমের পল্লব এর চাহিদা বেশ ভালই থাকে। যা বিক্রি করে রীতিমতো লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। চাষি নিজের পরিবারের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু পরিবারের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন এই ভিন্ন প্রকৃতির চাষের মাধ্যমে। এবছর দক্ষিণবঙ্গে আমের ফলন কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন আম সাধারণত এক বছর প্রচুর ফলন ধরে গাছে, পরের বছর ফলন কম হয়। এবছর আমগাছের অফ ইয়ার চলছে। আমের ফলন কম হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে আমের বাজার চড়া রয়েছে। আমের ফলন কম হলেও অনেক কৃষক আছেন যারা আম গাছের পাতা বিক্রি করে প্রচুর টাকা লাভ করছেন। পুজো পার্বনে আম পাতা প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি উন্নত মানের আম গাছের জাত রয়েছে যে গাছে শুধুমাত্র আম পাতা বিক্রি করার জন্য চাষ করা হয়। আমের পল্লব বিক্রির উদ্দেশ্যে উত্তর ২৪ পরগনার সাতপুর মসলন্দপুর এর বাসিন্দা দীপক কুমার রায় কয়েক বিঘা জুড়ে চাষ করছেন আম গাছের। বিগত পাঁচ বছর ধরে এই চাষ করছেন বলে জানান তিনি। চাষের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় জৈবসার ও ভার্মি কম্পোজ। দীপকবাবু জানান, এই চাষের মাধ্যমে বছরে এক থেকে দেড় লাখ টাকা লাভ হয় তাঁর। মূলত সুবর্ণরেখা জাতের আম গাছ রোপনের মধ্যে দিয়েই এই চাষ করা হয়। গাছগুলির উচ্চতা রাখা হয় পাঁচ থেকে সাড়ে ৫ পাঁচ ফুট। এক বিশেষ পদ্ধতিতে তোলা হয় আমের পল্লব। এরপরে বান্ডিল তৈরি করা হয়। আমের পাতা তোলা হলে তা চলে যায় স্থানীয় বাজারসহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। একবার গাছ লাগালে প্রায় কুড়ি বছর তার থেকে পাতা তোলা সম্ভব বলে জানান চাষি। এই চাষে বছরে মাত্র কুড়ি হাজার টাকা খরচ হয়। বর্তমানে এই চাষ দিশা দেখাচ্ছে সাফল্যের। অনেক চাষি এখন ঝুঁকছেন এই আমের পল্লব চাষের দিকে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: North 24 Parganas