উত্তর ২৪ পরগনা : একসময় মহালয়ার (Durga Puja Mahalaya) দিন ভোর হতেই টিভি খুলে বসেছেন বহু মহলয় প্রেমী মানুষেরা। সেই সময় ইন্টারনেট এবং মোবাইলের চলও কম ছিল। যতদিন এগিয়েছে টিভি থেকে শুরু করে রেডিও প্রচলন কমেছে। তাই অমল অসুরের কথাও ভুলে গিয়েছে মানুষ। বিশাল আকার চেহারার কারণে তাকে সুযোগ দেওয়া হয় দূরদর্শনের মহালয়ার অনুষ্ঠানে অসুরের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য।
দু’জন টেকনিশিয়ানের নজরে এসে রুপোলি পর্দার যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। তার চেহারা দেখে ভয়ে কাঁপতো ছোট শিশুরা। অশোকনগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অমল চন্দ্র চৌধুরী (Amal Chandra Chowdhury) একসময় দর্শকের মন জয় করে নিলেও আজ দিন কাটাচ্ছেন চরম অসহায় ভাবে। মহালয় একসময় অসুরের ভূমিকায় তাকেই দেখা যেত। মহালয়ার অনুষ্ঠান ছাড়াও টালিগঞ্জের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যান্য কাজও করেছেন তিনি।
আরও পড়ুনDurga Puja: বীরভূমের মহঃবাজারে দেবী দুর্গার পাহারায় থাকেন ভদ্রা
প্রথম সারির অভিনেতা-অভিনেত্রী পরিচালকদের সাথে কাজ করলেও আজ চরম অভাবে দিন কাটাতে হচ্ছে অমল চন্দ্র চৌধুরীকে। অশোকনগরে অসুর অমল বলে পরিচিত অমলবাবু গত ১০ বছর ডাক পাননি স্টুডিও পাড়া থেকে। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে অভিনয় ভুলে আজ হাতে তুলে নিয়েছেন রং তুলি। গাড়ির চারিদিকে লিখে, ছোটখাটো আঁকার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। অতীতের সেই সময়ের কথা ভাবলে ভারাক্রান্ত হয়ে যায় তার হৃদয়। তার দিদি করেন শোলার কাজ (Bengal news)। কোনও রকমে দিন চালাতে হাতে তুলে নিয়েছেন রং তুলি। জানান, আত্মীয়রাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তাদের থেকে। একসময় অনেক ভালোভাবে দিন কাটাতেন। সেই সময় বাড়িতে যাদের আনাগোনা লেগে থাকত, তারা অনেকেই আজ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
প্রথমদিকে খুব উদ্যোগী না হলেও পরবর্তীতে, কাজ পেতে থাকায় ভালোবাসতে শুরু করেন এই শিল্পকে। আজ দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করে দিন কাটাতে হচ্ছে তাকে। তার এই জীবন কাহিনী নিঃসন্দেহে অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এখনও পর্যন্ত মেলেনি কোন সরকারি সুবিধা। বাড়িতে দিদিকে নিয়ে বসবাস অমলবাবুর। সামান্য রংতুলির কাজ আর শোলার কাজ নিয়ে দিন কাটছে অমল বাবু এবং তার দিদির। আগামীদিনে কিভাবে দিন যাপন করবে তারই ভাবনায় দিন কাটছে অমল অসুরের।
রাতুল বন্দ্যোপাধ্যায়নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: North 24 Parganas