#নদিয়া- অবশেষে স্বস্তি। শুক্রবার বিকেলে সূর্য অস্ত যেতেই জেলায় নেমে এল কালবৈশাখী (Nadia News)। প্রায় দুমাস ধরে দেখা নেই বৃষ্টির। গরমে হাঁসফাঁস করছিল পশুপাখিও৷ বৃষ্টির অভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে গ্রীষ্মকালীন ফল ও শাক সবজিতে। তবে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছিল, শুক্রবার বিকেল থেকেই দক্ষিণবঙ্গে বেশকিছু জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। সেই পূর্ভাবাস অনুযায়ী এদিন সন্ধায় নদিয়া জেলার বেশ কিছু জায়গায় আচমকাই শুরু হল ঝড়। গ্রীষ্মের প্রথম ঝড়ের ধুলোতে ঢেকে গেল সমগ্র এলাকা। একাধিক জায়গায় ভেঙে পড়েছে গাছ।
ঝড়ের গতিবেগ এতটাই তীব্র ছিল যে আচমকাই নদিয়ার নবদ্বীপ থানার অন্তর্গত মাজদিয়া খেজুর বাগান এলাকায় ভেঙে পড়ে গাছ। গাছটি ভেঙে পড়ে বৈদ্যুতিক তারের উপর। ফলে গাছ পড়ার সাথে সাথে বিদ্যুত চলে যায়৷ রাস্তার উপর পড়ে বিশালাকার গাছের গুড়ি(Nadia News)। যার ফলে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় রাস্তা থেকে সরানো হয় গাছের গুড়ি। তবে তার ছিঁড়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে৷ ফলে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা বহু যানবাহন চালকদের সতর্ক করে দিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানানো হয়েছে স্থানীয় বৈদ্যুতিক অফিসে।
কালবৈশাখীর দেখা পাওয়ার আগে গরমে নাজেহাল অবস্থা ছিল সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পশুপাখির। আচমকাই কালবৈশাখী শুরু হওয়াতে খুশি সাধারণ মানুষ। তবে ঝড়ের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি হওয়ার কারণে জেলার একাধিক জায়গায় রাস্তার পাশে গাছ ভেঙে পড়েছে বৈদ্যুতিক তারের উপর। যার জেরে একাধিক জায়গায় বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এবং আশঙ্কা করা হচ্ছে বেশ কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
প্রসঙ্গত, জেলায় বৃষ্টির অভাবে ক্ষতি হয়েছিল আম ও লিচুর। বেশিরভাগ আম ও লিচুর, সূর্যের প্রখর তাপে, উপরের অংশ পুড়ে যাচ্ছিল। চাষিরা চাইছিলেন অন্তত একবার মুষলধারে বৃষ্টি নামুক। আচমকাই শুক্রবার বিকেলে ঝড় বৃষ্টি নামাতে একটু হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন চাষিরা।
Mainak Debnathনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Kalbaishakhi, Nadia, Rainfall