#নদিয়া: ইয়াস, আমফান, গুলাবের পর এবার জাওয়াদ ঘিরে দুশ্চিন্তা রাজ্যবাসীর কপালে। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় প্রশাসনের তরফে সতর্ক করা হচ্ছে। গাঙ্গেয় উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে মানুষকে সতর্ক করেছে প্রশাসন। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় চাষিরা ইতিমধ্যেই জমি থেকে ধান তুলে নিয়ে ঘরে ফিরছে। শেষমেষ কি রূপ নেবে জাওয়াদ তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষীরাও। দিঘা, মন্দারমনি সহ সাগরে পর্যটকদের যেতে বারে বারে নিষেধ করছে প্রশাসন। সমুদ্রে স্নান করার বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। রবিবার থেকেই রাজ্যের কিছু কিছু জায়গায় আছড়ে পড়তে পারে জাওয়াদ, সেই আশঙ্কায় এখন রাজ্যবাসী। ঝড়ের প্রকোপ না থাকলেও, ভারী বৃষ্টিতে নাজেহাল হতে পারে রাজ্যের মানুষ আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে এমনটাই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার শক্তি সঞ্চয় করে আছড়ে পড়বে জাওয়াদ নাকি শক্তি হারিয়ে অন্যত্র বিদায় নেবে? তবে স্বস্তির খবর, এই যে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব বাংলায় তেমন একটা পড়বে না বলে জানা যাচ্ছে। সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। দেখে মনে হয় যেন ভোরের সকালে মাঝে মাঝে ঝির ঝির বৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তা ঘাট অনেকটাই সুনসান, শেষ সময়ে চাষীদের ব্যস্ততা ফসল ঘরে তোলার। কিন্তু কতটা ফসল তুলতে পারবে তানিয়ে অনেকটাই অনিশ্চয়তায় চাষীরা। এমনিতেই গত এক বছরে একের পর এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে অনেকটাই ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে চাষীদের। আবারও অকাল সময়ে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় জেওয়াদ ইতিমধ্যে দুশ্চিন্তায় ফেলেছে চাষীদের। নদিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ধান চাষীরা ধান কাটা শুরু করে দিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ আছড়ে পড়ার আগেই। একাংশ ধান চাষীদের দাবি, এখনো অনেক ধান পাকা শুরু করেনি, কিন্তু কাটতে তারা বাধ্য হচ্ছেন। এই মুহূর্তে ধান যদি কেটে না নেওয়া যায় আবারও বড়োসড়ো ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের। এমনিতেই অনেক ধান চাষী ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ধান চাষ করে থাকেন, এরপরেও যদি বড়োসড়ো ক্ষতি হয় তাহলে আর ঋণ শোধ করতে পারবেন না চাষিরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Crop, Cyclone Jawad, Farmers, Nadia, Nadia news