কৌশিক অধিকারীঃ কান্দিঃ আঠেরো বছর না হলে কন্যাদের বিয়ে নয়, বারবার সরকারি ভাবে প্রচার চালানো হলেও, এখনও গ্রামীণ এলাকায় মানুষ যে সচেতন নয় তা পরিস্কার। সোমবার মুর্শিদাবাদ জেলাতে ফের নাবালিকা কিশোরীর বিয়ে বন্ধ করল পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী। সোমবার মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা থানার পাঁচথুপি গ্রামে ঘটে এই ঘটনা।
জানা গিয়েছে, এক নাবালিকার বিয়ের ঠিক আগের দিনেই ওই নাবালিকার বাড়িতে গিয়ে কিশোরীর বিয়ে বন্ধ করল প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
জানা গিয়েছে, ১৩বছরের নাবালিকা কিশোরীর নাম রিমি বাগদি, বর্তমানে সাটিতারা হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সাবলপুর পঞ্চায়েত এলাকায় তার বাড়ি। কিন্তু সাবলপুর পঞ্চায়েতে বিয়ে না দিয়ে, তার বাবা মা জোর করে বিয়ে দিচ্ছিল মেয়ের মামা বাড়ি পাঁচথুপি থেকে। মাত্র ১৩বছর বয়সেই নাবালিকার বিয়ে জানতে পারে পুলিশ এবং ব্লক প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
সোমবার দুপুরে বড়ঞা ব্লক প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে গিয়ে নাবালিকার বিয়ে রদ করা হয়। এবং আঠেরো বছর না হলে বিয়ে দেওয়া হবে না বলে মুচলেকা লেখানো হয় পরিবারের সদস্যদের দিয়ে ।
নাবালিকা কিশোরীর মা মামনি বাগদি জানান, "আঠেরো বছর না হলে আর কন্যার বিয়ে দেব না। আমি আমার মেয়ে কে পড়াশুনো করাবো তারপরেই তাকে বিয়ে দেব", বলে অঙ্গীকার করেন তিনি।
বড়ঞা ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, "আমরা নাবালিকা বিয়ে রদ করার জন্য একাধিক উদ্যোগ গ্রহন করে চলেছি। এখনও প্রচার চালানো হয় আঠেরো বছরের নীচে বিয়ে দিলে তার কুফল সম্পর্কে।"