#মালদহ- দক্ষিণ ভারতের ডিমের ওপরই ভরসা জেলার সাধারণ মানুষের। জেলায় ডিমের চাহিদা পূরণে এবার মালদহে সরকারি উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে নতুন পোল্ট্রি ফার্ম। ডিম উৎপাদনের জন্য, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে, মালদহ জেলায় নতুন এই পোল্টি ফার্ম তৈরির কাজ ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে প্রতিদিন গড়ে আড়াই লক্ষ ডিম উৎপাদিত হবে মালদহ জেলায়। জেলায় ডিমের চাহিদার পঞ্চাশ শতাংশ পূরণ করতে সক্ষম হবে, এমনটাই দাবি জেলা প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের আধিকারিকদের।
মালদহ শহর সংলগ্ন মকদমপুর কৃষি ফার্মের একাংশে জেলা প্রাণীসম্পদ বিকাশ বিভাগের মুরগি খামার রয়েছে। সেখানে এতদিন সরকারি উদ্যোগে মুরগি ও মুরগির ডিম বিক্রি করা হতো। তবে গত কয়েক বছর আগে বন্ধ হয়ে যায় মুরগি খামার। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পুনরায় মুরগির খামার নতুন করে তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন করে মুরগি খামারটি তৈরির নির্দেশ দেন। সেইমতো রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হয়। জেলা প্রাণীসম্পদ অধি দফতরের পক্ষ থেকে উন্নত প্রযুক্তির আধুনিক মুরগি খামারটি তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ফার্মটি তৈরি করবে ওয়েস্টবেঙ্গল লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের একটি পোল্ট্রি ফার্ম থেকে প্রতিদিন অন্তত আড়াই লক্ষ ডিম উৎপাদন হবে। জেলা প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে মালদহ জেলায় প্রতিদিন গড়ে ১৫ লক্ষ ডিমের প্রয়োজন হয়। জেলায় চাহিদার ৭০ শতাংশ ডিম আসে দক্ষিণের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য থেকে। বাকি ৩০ শতাংশ ডিম জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মুরগি ফার্ম থেকে আসে ও কিছু মহিলারা মুরগি চাষ করেন। সেখান থেকেই চাহিদা পূরণ হয়।
মালদহ জেলায় নতুন এই পোল্ট্রি ফার্ম তৈরি হলে সেখানে তিন লক্ষ মুরগি রাখা হবে। এই মুরগিগুলি টানা দেড় বছর ডিম দিতে পারে। ছয় মাস বয়সের পর থেকেই ডিম দেওয়া শুরু করবে। প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের কর্তাদের আশা, প্রতিদিন গড়ে আড়াই লক্ষ ডিম উৎপাদিত হবে জেলাতেই। ফলে জেলায় চাহিদা পূরণের ৫০ শতাংশ ডিম এখান থেকেই মিলবে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে নতুন পোল্ট্রি ফার্ম তৈরির কাজ শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সরকারি ভাবে।
Harashit Singha
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Malda