#মালদহ- এক সময় নিয়মিত খোলা হত লাইব্রেরি। গ্রামের পড়ুয়াদের একাংশ নিয়মিত আসতেন লাইব্রেরিতে। সিলেবাসের পড়াশোনা যেমন করতেন, তেমনি অনেকে বিভিন্ন সরকারি চাকরির প্রস্তুতির জন্য লাইব্রেরি থেকে বই পড়তেন। গ্রামের অধিকাংশ পড়ুয়াদের এখনো গ্রামীণ এই লাইব্রেরিতে কার্ড রয়েছে। এই কার্ডের সাহায্যে বিভিন্ন বই তুলতে পারেন তারা। গ্রামীণ লাইব্রেরিটি থাকায় মূলত এলাকার দুঃস্থ পড়ুয়াদের অনেকটা সুবিধা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, গ্রামের বেশকিছু অবসরপ্রাপ্তরা লাইব্রেরিতে আসতেন। গল্প-উপন্যাস সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা পড়ে অবসর সময় কাটাতেন।
এখন মাসের-পর-মাস ধরে তালা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে মালদহের মানিকচক ব্লকের লালবাথানি কিশোর সংঘ গ্রামীণ গ্রন্থাগার। দীর্ঘদিন ধরে লালবাথানি গ্রামের লাইব্রেরিটি বন্ধ হয়ে পড়ে থাকায় সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় পড়ুয়া থেকে প্রাপ্ত বয়স্কদের একাংশ। তাই গ্রামীণ এই লাইব্রেরিটি নিয়মিত খোলার দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।
মালদহ জেলা গ্রন্থাগার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে লালবাথানি কিশোর সংঘ গ্রন্থাগারের স্থায়ী কোনো গ্রন্থাগারিক নেই। এমনকি ওই গ্রন্থাগারের সরকারি কোনো কর্মীও নেই। তাই নিয়মিত খোলা সম্ভব হচ্ছেনা গ্রন্থাগারটি। মানিকচক ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রন্থাগারের দায়িত্বে রয়েছে মাত্র একজন গ্রন্থাগারিক। তিনি একা সবগুলো গ্রন্থাগার সামলান। তাই সবকটি গ্রন্থাগার নিয়মিত খোলা সম্ভব হচ্ছে না। মাঝেমধ্যে খোলা হয়।
যদিও লালবাথানি গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, করোনার আগে পর্যন্ত প্রায় নিয়মিত খোলা হত গ্রন্থাগারটি। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় গ্রন্থাগার। এখন সমস্ত কিছুই স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু করোনার পর এখন পর্যন্ত একদিনের জন্যও খোলা হয়নি লালবাথানি কিশোর সংঘ গ্রামীণ গ্রন্থাগার। বিভিন্ন পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার পড়ুয়া থেকে চাকরি প্রার্থীরা। তাই গ্রামের সমস্ত শ্রেণির মানুষেরা দ্রুত গ্রন্থাগারটি নিয়মিত খোলা রাখার দাবি তুলছেন।
Harashit Singhaনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Malda