#মালদহ- গ্রামে নেই পরিশ্রুত পানীয় জলের সুব্যবস্থা। পানীয় জলের জন্য ভরসা গ্রামের একমাত্র কুয়ো। বছরের অন্যান্য মরশুমে কুয়োর জল সংগ্রহ করতে তেমন সমস্যা হয় না। তবে গ্রীষ্মের মরশুমে জলস্তর অনেকটাই নীচে নেমে যায়। জল তুলতে সমস্যায় পড়তে হয় স্থানীয়দের। প্রতিবছর এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় গ্রামের বাসিন্দাদের। চলতি গ্রীষ্মের মরশুমেও চরম জলকষ্টের সম্মুখীন বাসিন্দারা। মানুষকে খেতে হচ্ছে পুকুরের জল। গ্রামের কিছু মানুষ দূর দূরান্ত থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করে নিয়ে আসছেন। তবে পুকুরের জলের উপরেই নির্ভরশীল এই গ্রামের বাসিন্দারা।
মালদহের গাজোল ব্লকের পাণ্ডুয়া পঞ্চায়েতের ধুমাদিঘি সহ আশেপাশের গ্রামগুলিতে এখন চরম পানীয় জলের অভাব। গ্রামে নেই পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা। নেই কোনো টিউবওয়েল। সারাবছর গ্রামবাসীদের ভরসা একমাত্র কুয়োর জল। বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসে কুয়োর জলের স্তর নেমে যায়। জলস্তর নীচে নেমে যাওয়ায় কাদা-জল ওঠে কুয়ো থেকে। এমন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে পুকুরের জল খেতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের, যে পুকুরে স্নান করে গবাদিপশুরাও। জামা কাপড় কাচা হয় ওই পুকুরেই। সেই জল পান করতে বাধ্য হচ্ছে বাসিন্দারা। পুকুরের জল দীর্ঘদিন খেয়ে গ্রামের বেশকিছু মানুষদের শরীরে বাসা বাঁধছে চর্ম রোগ সহ বিভিন্ন অসুখ। বর্তমান আধুনিক যুগে এই ছবি উঠে আসলো গাজোল ব্লকের কানোট, বেতা শাড়ি, ধুমাদিঘী গ্রামে।
গ্রামবাসীদের আভিযোগ,পরিশ্রুত পানীয় জলের জন্য বারবার আবেদন করলেও কোনো লাভ হয়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে ব্লক অফিসে বহু বার আবেদন জানানো হয়েছে। সমস্যা সমাধানে কেউ এগিয়ে আসেনি, তাই সারা বছর ধরে তাদের কুয়োর জল খেতে হয়। আর তীব্র গরমে কুয়োর জল স্তর নেমে গেলে ভরসা একমাত্র গ্রামের পুকুর।
Harashit Singhaনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Drinking Water, Malda