#মালদহ- অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মালদহ শহর জুড়ে অবাধে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে যাচ্ছে। বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। ইন্ডোর প্ল্যান্ট বা ছাদ বাগান তৈরি করলে অনেকটাই সবুজের ঘাটতি পূরণ সম্ভব। শুধু সুবজায়নই নয়, ঘরের শ্রীবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে ঘর ঠান্ডা রাখতেও এর জুরি মেলা ভার। এমনটাই মনে করেন মালদহ শহরের কৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দা মধুছন্দা মন্ডল। তিনি পেশায় জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা, তবে তাঁর নেশা সবুজায়ন। অবসর সময়ে নিজের খেয়ালে গোটা বাড়ি জুড়ে তৈরি করে ফেলেছেন আস্ত একটা বাগান। বাড়ির ছাদ দেশি বিদেশি প্রজাতির গাছে ভরে রয়েছে।এমনকি ঘরের মধ্যে তৈরি করেছেন ইন্ডোর প্ল্যান্ট।
মধুছন্দা মন্ডল শুধু যে নিজের উদ্যোগে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে উদ্যোগী হয়েছেন তাই নয়, সমাজের প্রতিটি মানুষকে গাছ লাগানো আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। নিজে বাগান তৈরির পাশাপাশি সহকর্মী ও পরিচিতদেরকেও গাছ লাগানো বা বাগান তৈরিতে উৎসাহ দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত।সহকর্মী থেকে আত্মীয় পরিজনদের নিজের উদ্যোগেই গাছের চারা বিলি করছেন।নিজের বাড়িতেই তৈরি করেন গাছের চারা।বিনামূল্যে সেই চারা বিতরণ করেন সকলের মধ্যে। মানি প্ল্যান্ট, ড্রাকিলা, এরিকা পাম, বাম্বু পাম, ফিকাশ, বেঞ্জামিনা, ছোট রবার গাছ, স্পাইডার প্ল্যান্ট, সাকুলেন্ট, জেড প্ল্যান্ট, পিস লিলি ও অ্যালোভেরা সহ আরো বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশি গাছ যেমন রয়েছে তাঁর ইন্ডোর প্ল্যান্টে, বাদ নেই তুলসী, বেলি, করবি সহ দেশি প্রজাতির গাছও। সব মিলিয়ে বর্তমানে তাঁর বাগানে প্রায় ৫০০ শতাধিক গাছ রয়েছে।
নিয়মিত সমস্ত গাছের চারা তৈরি করে আত্মীয়-স্বজন সহকর্মীদের মধ্যে বিতরণ করে যাচ্ছেন। জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা মধুছন্দা মন্ডলের দাবি, ইন্ডোর প্ল্যান্ট তৈরি করে তীব্র গরমে বাড়ির তাপমাত্রা কিছুটা কমানো সম্ভব। ইন্ডোর প্ল্যান্টের ছোট ছোট গাছগুলি ঘরে রাখলে কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, ক্লোরোফ্লোরো, কার্বনের মতন বিষাক্ত গ্যাসকে শোষণ করে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। যার ফলে প্রাকৃতিকভাবে ঘর থাকবে ঠান্ডা। প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরকে ঠান্ডা রাখতে এইসব গাছ খুব প্রয়োজনীয়।
Harashit Singhaনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Gardening, Malda, Tree Plantation