#খড়্গপুর: দেশের তথা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটি খড়্গপুর। সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সেরা পড়ুয়ারা পড়াশোনা ও গবেষণার সঙ্গে যুক্ত। সেই আইআইটি খড়্গপুরের ৫৫০ জন পড়ুয়া মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাত অবধি নজিরবিহীন আন্দোলনে শামিল হলেন। বয়কট করলেন দুপুরের খাবার। প্রত্যুত্তরে অবশ্য তাঁদের রাতের খাওয়ার বন্ধ করে দিলেন খাওয়ারের দায়িত্বে থাকা প্রাইভেট মেসের ম্যানেজার! রাত্রি ১১টা পর্যন্ত না খেয়ে আন্দোলন চালিয়ে গেলেন পড়ুয়ারা। আন্দোলন ও এই বয়কটের কারণ, দীর্ঘদিন ধরে নিম্নমানের খাওয়ার পরিবেশন করা। বারবার দাবি জানানো সত্ত্বেও, খাওয়ারের মানের কোনও উন্নতি না হওয়ায়, মঙ্গলবার দুপুর থেকে আন্দোলনে শামিল হলেন আইআইটি'র ৫৫০ পড়ুয়া।
উল্লেখ্য, অতিমারী পরিস্থিতিতে বন্ধ আছে আইআইটি'র হোস্টেল পরিষেবা। বন্ধ আইআইটি চত্বরে ক্যান্টিন, দোকানপাট সবকিছুই। এতজন পড়ুয়ার কথা ভেবে খাওয়ারের জন্য প্রাইভেট মেস চালু করা হয়েছে। আইআইটি'র লাল বাহাদুর শাস্ত্রী হলে এই প্রাইভেট মেস চলছে গত কয়েক মাস ধরে। কিন্তু, পড়ুয়াদের অভিযোগ সেই মেসের খাওয়ারে প্রায়শই পাওয়া যাচ্ছে মশা-মাছি, কীটপতঙ্গ। খাবারের মান অত্যন্ত খারাপ অথচ দাম অনেক বেশি বলেও তাঁদের অভিযোগ। রাতে খাওয়ার হলেও, সন্ধ্যার মধ্যেই সমস্ত পড়ুয়াদের খাওয়ার খেয়ে নিতে হয়, সমস্যায় পড়েন রাত্রি জেগে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীরা। এই সমস্ত বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এবং অবিলম্বে হোস্টেল পরিষেবা চালু করার দাবি জানানো হলেও কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেননি।
তাই, বাধ্য হয়েই খাওয়ার বয়কট করে, মঙ্গলবার HMC হল ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের সামনে অনশনে বসে পড়েন ৫৫০ জন পড়ুয়া। বয়কট করেন দুপুরের খাওয়ার। আর, সেই 'অপরাধে' বন্ধ করে দেওয়া হয় পড়ুয়াদের রাতের খাবার। ফলে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে এই আন্দোলন। অবশেষে, রাতে আধিকারিকরা পৌঁছন সেখানে। জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের সঙ্গে এই সমস্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাঁদের দাবিগুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে বলেও জানানো হয়েছে। কিন্তু, বিশ্বের অন্যতম সেরা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই লজ্জাজনক ঘটনায় ইতিমধ্যে নেট মাধ্যমে সরব হয়েছেন দেশ বিদেশে থাকা আইআইটির প্রাক্তনী থেকে শুরু করে শিক্ষা মহলের ব্যক্তিত্বরা।
Partha Mukherjee
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: IIT KHARAGPUR