#ধুলাগড়ঃ স্কুল খোলার দ্বিতীয় দিনে আজও হাওড়ার বিভিন্ন স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। মুখে মাস্ক ও শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে আজও ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলে প্রবেশ করলেন। গত কালের তুলনায় আজ স্কুলে পড়ুয়াদের সংখ্যা বেশ কিছুটা বেড়েছে বলেই জানাচ্ছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষিকারা।
স্কুল খোলার পর শুধু ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকরাই নন, খুশির হাওয়া স্কুলের বাইরে থাকা ফুচকা, লজেন্স, ঝালমুড়ি ও অন্যান্য মুখরোচক খাবার বিক্রেতাদের মধ্যেও। আজ News18 লোকলের প্রতিনিধিকে সেই কথাই জানালেন বিক্রেতারা।
এ দিন হাওড়ার ধুলাগড়ের একটি বেসরকারি স্কুলের বাইরে বসা এক ফুচকা বিক্রেতা সঞ্জিত হালদার জানান দীর্ঘ প্রায় নয় থেকে ১০ বছর ধরে ওই স্কুলের বাইরেই ফুচকা বিক্রি করে নিজের রুটি রুজি সামলাচ্ছেন তিনি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় কুড়ি মাস ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় আর্থিকভাবে প্রবল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। লকডাউনের মাঝে রাস্তায় মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিক্রিও করেছেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর সংক্রমণ অনেকটাই কম থাকায় সেই ব্যবসাতেও তিনি শেষদিকে লাভের মুখ দেখছিলেন না। তাই স্কুল খোলার পর প্রথম দুদিন আগের মতো বিক্রি না হলেও, ধীরে ধীরে সংক্রমনের ভয় কাটিয়ে তার ফুচকাস্টলের বাইরে আবার আগের মতোই ছাত্রছাত্রীরা ভিড় করবে বলেই আশা করছেন ওই ফুচকা বিক্রেতা।
সেই একই আশার আলো দেখছেন স্কুলের আশেপাশের বই, খাতা ও স্টেশনারি সামগ্রী বিক্রেতারাও। স্কুল খোলার পর মঙ্গলবার থেকে তাদের বিক্রি আগের থেকে যে বেশ কিছুটা বেড়েছে তাও জানাচ্ছেন তারা। সব মিলিয়ে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে, পরে সমস্ত শ্রেণীর জন্য স্কুল খোলা হলে সেক্ষেত্রে ব্যবসা আবার আগের জায়গায় ফিরবে বলেই মনে করছেন বিক্রেতারা সে কথা কিন্তু বলাই যায়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Howrah