#শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি: এই চিত্র দেখে মনে হবে 'দুই পাশে দুই হাতি, মাঝে বয়ে যায় নালা'। পর্যটকদের আকর্ষণ গজলডোবার অদূরে বৈকুন্ঠপুর জঙ্গল লাগোয়া তিস্তার সাব ক্যানালের ছবি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে দু’পাশে দাঁড়িয়ে দুই দাঁতাল। দেখে মনে হচ্ছে, প্রথমটির লক্ষ্য ক্যানাল পেরিয়ে আরেকদিকের জঙ্গলে ঢোকা। দ্বিতীয় দাঁতাল আবার সেই জঙ্গলে তাকে ঢুকতে দিতে নারাজ। ফলে রীতিমত পথ আটকে পাহাড়া দিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে (Baikunthapur Elephant)। এদিকে আরেক দাঁতালও অপেক্ষা করছে নিজের মনে।
গজলডোবা লাগোয়া বৈকুন্ঠপুর জঙ্গলে এমনই ছবি ধরা পড়ল সেখানে ঘুরতে আসা কিছু ব্যক্তির ক্যামেরায়। এর মধ্যে স্থানীয়রাও হাজির ছিলেন। এটা আদৌ এলাকা দখল? নাকি সংঘাতের শুরুয়াত? তা বলা মুশকিলই বটে। তবে আর যাই হোক না কেন, মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে ডুয়ার্সের হাতি। সেই হাতি, তাও আবার একসঙ্গে 'ডবল' (double) দর্শন, গজরাজের এই দর্শনে স্বাভাবিকভাবেই খুশি সকলে।
এদিনের এই দৃশ্যে দেখা গিয়েছে, তিস্তা ক্যানেলের দুই ধারে দুই দাঁতাল দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ ধরেই প্রতিপক্ষকে মালে। নিজেদের শক্তি জাহির করতেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ফের নিজমনে চলে যায় দাঁতাল দুটি। এদিকে, হাতির দেখা মেলায় খুশি বনকর্মীরাও। কারণ দিনকয়েক আগেও জলপাইগুড়ি সংলগ্ন তিস্তা চেকপোস্ট পাচারের আগে আটকানো হয় সাতটি হাতি। লরিতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল হাতিগুলিকে (Baikunthapur Elephant)। চেকিংয়ের সময় জলপাইগুড়ি তিস্তা চেকপোস্টে গাড়িগুলিকে আটক করে বন দফতর।
ইদানিং বনদফতরের সাফল্যের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। বিভিন্নভাবে বন্যপ্রাণীকে উদ্ধার করেছে এই বনদফতর। কোথাও ভল্লুক, কোথাও চিতাবাঘ, আক্রান্ত হয়ে পালটা আক্রমণ করেছেন মানুষ। তবে সেই ক্ষেত্রে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ করার দায়িত্বভার তুলে নিয়েছে বনদফতর। তাদের এই সাফল্যে খুশি পরিবেশপ্রেমী থেকে শুরু করে সামাজিক কর্মীরাও।
এদিকে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তিস্তা সেতুর কাছে হাতি-সহ ৬টি লরি আটক করেন জলপাইগুড়ি বন বিভাগের কর্মীরা। এই ঘটনায় মাহুত এবং গাড়ির চালক সহ মোট ১৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে বনদফতর। প্রতিটি হাতির কানে মাইক্রোচিপ লাগানো ছিল।
সম্প্রতি, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর বনবিভাগে ঢুকে পড়ে পাঁচটি হাতির একটি দল। এরপর ওই দলটি অপর একটি দলের সঙ্গে মিলিত হয়। দুটি দল মিলিয়ে ১১টি হাতি দারকেশ্বর নদ পেরিয়ে সোনামুখীর দিকে রওনা হয়ে গেলেও ওই দলের একটি হাতি দলছুট হয়ে দারকেশ্বরের অপর পাড়ে থেকে যায়। বন্যপ্রাণ-মানুষ সংঘাত মাঝে বেড়ে গেলেও ইদানিং বনদফতরের নজরদারি ও সক্রিয়তার ফলে কিছুটা কমেছে। তবে, বন্যপ্রাণ রক্ষার্থে বিভিন্ন সংগঠনকে বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছে।
Vaskar Chakrabortyনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Elephants, Jalpaiguri, Siliguri